লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে হামলা, ওসিসহ হতাহত-২০, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশত রাউন্ড গুলি

114

লামা প্রতিনিধিঃ-কুমিল্লা পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে লামায় প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলার সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় লামা বাজারের উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লামা কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, লামা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভার পরপরই উপস্থিত জনতাকে চলে যেতে বললে তারা কারো কথা না শুনে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে লামা বাজার প্রদক্ষিণ করে। শেষে মাছ বাজারের মোড়ে গিয়ে ভাংচুর শুরু। কয়েক হাজার মানুষ প্রায় ৩/৪ ঘন্টা ব্যাপী লামা বাজার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, তার আশপাশে ভাংচুর ও তান্ডব চালায়।
এসময় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ ২০ এর অধিক আহত হয়। ওসি লামাকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অনেক গুরুতর আঘাত লেগেছে। আহতদের লামা সরকারি হাসপাতালে ও আলিঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অর্ধশত ফাঁকা গুলি (টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট) নিক্ষেপ করা হয়। নিউজ লেখা পর্যন্ত লামা বাজারের প্রধান সড়ক ও হরি মন্দির রোড় উচ্ছৃঙ্খল জনতার দখলে আছে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাঠে রয়েছে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রের শরীরে মরিচের পানি ছিটায় হামলাকারীরা।
লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের মন্দির ভাঙ্গে নাই আমার কলিজা ভাঙ্গা হয়েছে। প্রতিমা ও মুর্তি ভাঙ্গা হয়েছে। হামলাকারীরা দেখে দেখে আমাদের সনাতন ধর্মীয় লোকজনের বসতবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করছে। আমাদের অনেকে আহত।