কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু

17

॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানে পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে র‌্যাব নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। এ অভিযানে র‌্যাব ছাড়াও অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধার এবং কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে।
জানা গেছে, জেলার রুমা-থানচি-রোয়াংছড়ি-আলীকদম এই চারটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় র‌্যাব কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু করেছে। জেলা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি। আর ব্যাংক ও অস্ত্র লুটকে কেন্দ্র করে পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, কেএনএফের হামলার ঘটনা কিন্তু ছোট কোন ঘটনা নয়। সূদর প্রসারী হামলার লক্ষ্য হিসাবে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। কেএনএফ বম সম্প্রদায়ভুক্ত। একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এদের সদস্য সংখ্যা খুবই কম। এর আগে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনী অভিযানে চালিয়ে তাদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়। তারা পাশের দেশে পালিয়ে যায়। তারা বলেন, শান্তি আলোচনার নামে এই কেএনএফের সদস্যরা পাহাড়ে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ সংগ্রহের জন্য তারা ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে। আগেই এই কেএনএফকে নির্মূল করার দরকার ছিলো। কিন্তু তা করা হয়নি। এই কেএনএফের সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরামসহ কয়েকটি রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। এরা বান্দরবানের দুর্গম এলাকা দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূলে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। টার্গেট পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মাথাচারা দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।