নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলি, আতঙ্কে স্থানীয়রা

16

॥ নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ॥
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম রাখাইন সীমান্তে দেশটির সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। সীমান্তের এ পয়েন্টে গত ২ বছর ধরে চলে আসা সংঘর্ষে সামরিক বাহিনী হারিয়েছে অন্তত ৬০টি ছোট-বড় ঘাঁটি।
এদিকে সীমান্তে আবারও মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে তুমব্রু বাজার ও তুমব্রু গ্রামসহ আশপাশের ৫ গ্রাম। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে জামছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ৪৫ পিলারের পাশে বিদ্রোহী আরকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা ছালিদং ক্যাম্পে আগুনের শিখা দেখা যায়। এটি জান্তা বাহিনী থেকে কেড়ে নিয়েছিল তারা। তবে এ ক্যাম্পে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে জান্তা বাহিনীর ফকিরা বাজার কমনচিক ক্যাম্প ঘাঁটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করে বিদ্রোহী আর্মি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের ৬-৭ কিলোমিটার ভেতরে এর অবস্থান। ওই ঘাঁটিতে শতাধিক জান্তা সমর্থিত সেনা অবস্থান করছে। বুধবার রাত ৯টার পর এ ক্যাম্পটি ঘিরে ফেলে বিদ্রোহী আরকান আর্মি। এরপর শুরু হয় গোলাগুলি। যা এখনো চলমান।
দুপুর সোয়া ১২টা নাগাদ প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছিলো সেখানে। সেসময় বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী জামছড়ি, ফুলতলী, চেরারমাঠ, আশারতলী, জারুলিয়াছড়ি এবং ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার, তুমব্রু পশ্চিমকূল, বাইশফাঁড়ি ও কোনারপাড়াসহ বেশকিছু গ্রামের মানুষ গোলাগুলির প্রচণ্ড আওয়াজ শুনতে পান।
জামছড়ির বাসিন্দারা বলেন, দুই পক্ষের সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনায় গোলাগুলির প্রচণ্ড শব্দ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সংবাদ লেখার সময় অবধি বিকাল পর্যন্ত চলছিল।
সীমান্তের অধিবাসী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সাবের আহমদ, তুমব্রুর আবদুল জাব্বার, বাইশফাঁড়ির ছৈয়দ হোসেন ও চেরারমাঠের ছৈয়দ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকেও গোলাগুলি চলার কথা জানান তারা। তাদের ধারণা, রাখাইন রাজ্যের মন্ডু জেলার বলিবাজারের ১টি বড় সেনা ক্যাম্প দখলে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে।