নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে মৎস্য বাঁধের জরুরী সংস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী

22

॥ নানিয়ারচর প্রতিনিধি ॥
নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ১৭নং টিলার মৎস্য বাঁধটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা না হলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার বুড়িঘাটের ১৭নং টিলার সংস্কার না করায় বিগত বছরগুলোতে মাছ চাষ ও হাসের খামার ও মৌসুমে পরিমিত পানি না থাকায় ফসল ফলাতে অসুবিধায় পড়েছে ঐ এলাকার জনসাধারণ। সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ বলছেন সরকারি উদ্যোগে বাঁধটি সংস্করণ জরুরী হয়ে পড়েছে। বাঁধটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় অবস্থায় পড়ে আছে।
এসব বাঁধ সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর ও ফসল ভেসে যাওয়ার পর সংস্কার ও নির্মাণের একবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর কোন সংস্করণ করা হয়নি। বাঁধটিতে লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হলেও এখন সংস্করণের অভাবে স্থানীয়দের কোন কাজে আসছেনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন বাঁধের দুর্বল পয়েন্টগুলো চি‎হ্নিত করে সংস্কার করতে হবে। আগামীতে যেন পাহাড়ি ঢলের শ্রোতে ভেঙে নিতে না পারে।
বুড়িঘাট ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোস্তফা খান জানান, বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে পুনরায় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের শেয়ার বন্টনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উপায় বের করা যেতে পারে। বাঁধটিতে ৬ মাস পানি থাকবে আর বরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে এতে শেয়ারদারদের জায়গার কাগজ অনুযায়ী সমবন্টন করে দেওয়া যেতে পারে। এতে সকলের উপকার হবে।
বিশেষ করে টেকসই বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর মাছ উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। প্রতি বছর কাপ্তাই লেকে পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে নদীর পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ভাবে বাধটি ভেঙ্গে গেছে, এই বাধটি এক সময় বিশেষ করে মৎস্য সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ করে ঐ এলাকার চাহিদা পূরণ করা হত। কিন্তু প্রায় বিশ বছরের বেশি বাঁধটি সংস্করণ না করায় মাছ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: জসিম উদ্দিন এবং মো: রফিক জানান, বাঁধটি পুনরায় সংস্করণ করা হলে মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে এলাকার চাহিদা পূরন করে বিভিন্ন জেলায় মাছ পাঠানো যাবে। আমরা চাচ্ছি চিংড়ি মাছ চাষ করব। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা খুব সহজ। বিশেষ করে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। মৎস সম্পদ উৎপাদনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির ফসল উৎপাদন সম্ভব। যা দেশের খাদ্য ঘাটতি পুরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বাঁধটি পাহাড়ি ঢলে ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, এসব বাঁধের স্থায়িত্ব ধরা হয় বিশ বছর। কিন্তু যা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ও যথাযত ভাবে বাঁধ সংস্কার করা হয়নি। ফলে এলাকা জনসাধারণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।