না ফেরার দেশে চলে গেলেন পাহাড়ের বাতি ঘর ড. মানিক লাল দেওয়ান

407

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-না ফেরার দেশে চলে গেলেন আজন্ম সংগ্রামী ও পাহাড়ের বাতি ঘর, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট বি.এন.পি নেতা ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন, ড. মানিক লাল দেওয়ান।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ব্রেনস্ট্রোকে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক এই চেয়ারম্যান এই মাসেই কোভিড আক্রান্ত হন স্বপরিবারে। এর পর চিকিৎসাধীন ছিলেন, চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে। সেখান থেকে করোনামুক্ত হয়ে ফিরে আসেন রাঙ্গামাটির শহরের মাঝেরবস্তির ট্রাইবেল অফিসার্স কলোনীতে নিজ বাসভবনেই। কিন্তু করোনাকে জয় করলেও করোনাত্তোর শরীরি ধকল তাকে ঠিকই কাবু করে ফেলে।
বুধবার (২৮ জুলাই) তার নিজ বাসায় রাতে হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত তাকে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন তার পারিবারিক সূত্র।
ডা. মানিক লাল দেওয়ানের কন্যা ঝুমা দেওয়ান জানিয়েছেন, বাবা করোনামুক্ত হয়ে মোটামুটি ভালোই ছিলেন। বুধবার হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করার পর বৃস্পতিবার সকালে আমরা তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসি। সেখানেই বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তিন শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেছেন। আগামীকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাঙ্গামাটি মানিকছড়ি পারিবারিক শশ্মানে তার দাহক্রিয়া করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা জানিয়েছেন, কদিন আগেই করোনামুক্ত হয়ে তিনি রাঙ্গামাটিতে তার নিজ বাসায় ফিরেছিলেন। গতরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে রাঙ্গামাটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয় অক্সিজেন সাপোর্টের জন্য। সকালেই ওনাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। একটু আগেই জানলাম তিনি মারা গেছেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ইতিহাসের সবচে সফল ও উচ্চ শিক্ষিত চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল অবধি জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালে দলীয় রাজনীতির উর্ধে উঠে বেশ কিছু নিয়োগ প্রদান করে ব্যতিক্রমি উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। এর আগে দীর্ঘ বছর তিনি ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন ছিলেন ডীন।
ড. মানিক লাল দেওয়ানের একমাত্র কন্যা ঝুমা দেওয়ান জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচী (ইউএনডিপি)’র পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রকল্পে কর্মরত আছেন।