কাপ্তাইয়ে ৫শ পরিবার মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস

228

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত খাড়া পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ঘর তৈরি করে বসবাস করছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। যে কোন মুহুর্তে পাহাড় ধসে জীবন বিপন্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে সবার। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারিদের পাহাড় থেকে সরে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস না করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মাইকিং করে সবাইকে সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু এসব অনুরোধ ও সাবধান বাণীকে আমলেই নিচ্ছেনা পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারিরা। প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঝুঁকি মাথায় নিয়েও পাহাড় ছাড়তে রাজী নয় তারা।
াহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারিদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার বিষয়ে বারবার অনুরোধের বিষয় উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরে আসার জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করে আসছি। কিন্তু অনুরোধ ও আহবান কেউ শুনছেনা।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে কাপ্তাই নতুন বাজারের ঢাকাইয়া কলোনীতে বিপুল সংখ্যক পরিবার অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এমন ঝুঁকিতে তারা বসতি গড়েছেন দেখলেই বুক কেঁপে উঠে। ঝুড় তুফান ও বৃষ্টি ছাড়াই যে কোন মুহুর্তে এসব ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অনুরোধে কাজ না হলে জোর খাটানো হবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রশাস্ন যে কোন পদক্ষেপ নেবে বলেও সুত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ ও ১৩ জুন ভারী বর্ষণের ফলে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে পাহাড় ধস নামে। ঐঘটনায় ১১৮জন মানুষ মাটি চাপা পড়ে মারা যায়। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে। এবছরও জুন মাসের শুরু থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে ব্যঅপক হারে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই সবাইকে নিরাপদ স্থনে সরিয়ে নিতে প্রশাসন তৎতর রয়েছে বলে জানা গেছে।