সরকারী চাকুরীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে সংবাদ সম্মেলন

178

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৩ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মংসানু চাকমা, পার্বত্য চট্টগাম বন ও ভুমি রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য কোটা করা হয়েছিল ৫শতাংশ। যা ২০১৮ সালে এক প্রজ্ঞাপনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী কোটা বাতিল করা হয়। এতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বৈষম্যর শিকার হচ্ছে।
কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রী বলে ছিলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে জানতে চাই, কি আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সে বিষয়ে আমরা অন্ধকারে আছি। তার পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরির ক্ষেত্রে ৫শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। এ অবস্থায় কোটা বিলুপ্তির ফলে তারা আরো বঞ্চিত হবে। কোটা বিলুপ্তির আগে আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হোক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, দেশে কোটা বিলুপ্তির পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।
এই আগে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে কোটা পুনর্বহালের বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।