টানা তিনদিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়

460

রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবানঃ-করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণের মধ্যে ও বান্দরবানে টানা ৩দিনের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিনদিনের বন্ধে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল মোটেলে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলগীরিসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে সকাল থেকে পর্যটকরা ভীড় জমিয়েছে এবং বান্দরবানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে।
বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ীর চালক মো: জামাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে বান্দরবানে আমরা গাড়ী চালাতে পারি নাই, কিন্তুু ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিনদিনের বন্ধে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল মোটেলে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে এবং আমরা পর্যটকদের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমন করতে নিতে পারছি।
বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ীর চালক বাপ্পী বড়–য়া বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক এসেছে এবং আমাদের মালিক সমিতির টুরিষ্টবাহী বেশিরভাগ জীপ গাড়ীগুলো বুকিং রয়েছে ৩দিনের জন্য।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রীনল্যান্ডের স্বতাধিকারী মো: মহিউদ্দিন বলেন, বান্দরবানে ৩দিনের ছুটিতে পর্যাপ্ত পর্যটকদের আগমন ঘটেছে এবং আমাদের বেশিরভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে আর আমরা পর্যটকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, টানা তিনদিনের বন্ধে বান্দরবানে বেশ পর্যটকের সমাগম হয়েছে, বেশিরভাগ হোটেল মোটেল বুকিং। সভাপতি অমল কান্তি দাশ আরো বলেন, জেলা সদরের হোটেল মোটেলের রুম বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরতে চলে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, বান্দরবান জেলায় ৬০টি হোটেল মোটেল রয়েছে আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪শতাধিক আর এই পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
এদিকে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা আর এই জেলাতে সবসময় দেশি বিদেশি পর্যটকের সমাগম হয়। তিনি আরো বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারির বন্ধকে ঘিরে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ইতিমধ্যে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে এবং বান্দরবান জেলা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।