পাহাড়ে কর্মরত সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রী’র কাছে জোর দাবী সাংবাদিকতার বাতিঘর মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক প্রদানের

270

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের কর্মরত সাংবাদিকরা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। পাহাড়ের এই মানুষটি সাংবাদিক সৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবদান কম নয়। তার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে ছিলেন, পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবন-জীবিক, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা।
এর প্রেক্ষিতে তিন পার্বত্য এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বরাবরে সকল সাংবাদিকগণ সহমত প্রকাশ করে চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে যারা একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের সহমত প্রকাশ করেছেন তারা হলেন, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি তরুন কুমার ভট্টাচার্য্য, খাগড়াছড়িতে প্রকাশিত দৈনিক অরুণ্য বার্তার সম্পাদক-চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক ও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক-আবু তাহেব মোহাম্মদ, এস এস টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি- মোঃ নুরুল আজম, পূর্বকোণ এর জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি-জহুরুল আলম, কালের কন্ঠ ও এ টি এন বাংলার জেলা প্রতিনিধি- মোঃ আবু দাউদ, একুশে টিলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি-চিম্মেপ্রু মারমা, প্রথম আলো সাংবাদিক- জয়ন্তী দেওয়ান এবং প্রথম আলো’র ফটোগ্রাফার-নিরব চৌধুরী, অপুদপ্ত, দীলিপ চৌধুরী, যমুনা টিলিভিশনের প্রতিনিধির-শাহারিয়া ইউনুস, দীঘিনালা ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তমাল দাস লিটন ও নুরুচ্ছফা মানিক ও সৈকত দেওয়ান, খাগড়াছড়ি গুইমারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন এবং সকল সদস্যবৃন্দ, খাগড়াছড়ি পানছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সত্যয়ন চাকমা, এস চাকমা সত্যজিৎ এবং আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি-রফিকুল ইসলাম।
বান্দরবান কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে যারা একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের সহমত প্রকাশ করেছেন তারা হলেন, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সহ সভাপতি নাছিরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, বান্দরবান প্রেস ইউনিটের সভাপতি আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকির, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আল ফয়সাল বিকাশ, সাধারণ সম্পাদক মংসানু মারমা, মোহন টেলিভিশন বান্দরবান প্রতিনিধি রাহুল বড়ুয়া ছোটন, মাছ রানা টেলিভিশন বান্দরবান প্রতিনিধি কৌশিক দাশ, চ্যানেল ২৪ বান্দরবান প্রতিনিধি ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী, বাংলা টিভি বান্দরবান প্রতিনিধি মোঃ ওসমান গণি।
রাঙ্গামাটি কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে যারা একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের সহমত প্রকাশ করেছেন তারা হলেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সহ সভাপতি অলি আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, কোষাধ্যক্ষ পুলক চক্রবর্তী, রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি সুশিল প্রসাদ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজন, একুশে টিভি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ছত্রং চাকমা, দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকা রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোঃ কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ, আর টিভি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ইয়াছিন রানা সোহেল, জেটি টিভি আনলাইন টেলিভিশন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি শিশির দাশ বাবলা, এস এ টিভি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলাইমান, বিজয় টিভি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি ইমতিয়াজ কামাল ইমন।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি তরুন কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হলেন এ,কে,এম, মকছুদ আহমেদ। তিনি যখন সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন তখন তিন জেলা মিলে একটি জেলা ছিল। আর অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র মুখপাত্র ছিল সাপ্তাহিক বনভূমি। পরবর্তীতে দৈনিক গিরিদর্পন প্রকাশ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা সম্পর্কে বুঝতেন না। সেই সময় সংবাদপত্রের মতো কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজটি করেছেন এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ।
অরণ্য বার্তার সম্পাদক, চৌধুরী আতাউর রহমান রানা বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় আজ যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন তা সম্ভব হয়েছে বনভূমি ও গিরিদর্পণের কল্যাণ। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার কথা লেখা হতো এ দুটি পত্রিকায়। আর সেই সব সমস্যা সরকারের দৃষ্টিতে পড়তো। ফলে সরকারও সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করতেন। আজ যে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে এতো উন্নয়ন তা এই দুটি পত্রিকার কারণে তা নিঃসন্দেহে স্বীকার করতে হবে। মকছুদ আহমেদের দেখাদেখি আমরাও উৎসাহিত হয়েছিলাম। তাঁর অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছিলাম। বাংলাদেশ অবজারভাবে সাংবাদদাতা হিসেবে কাজ করি।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, এটি নিঃসন্দেহে বলা চলে যে, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সাংবাদিকতা পেশায় যারা এসেছেন, তাঁর দেখানো পথ ধরেই এসেছেন। এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ।
দীঘিনালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিকাশে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ভূমিকা অতুলনীয়। তিনি পার্বত্যাঞ্চলের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তাঁর মতো মানুষ হয় না। তিনি উদার মনমানসিকতার মানুষ। তাঁর চিন্তা-ভাবনাও ব্যতিক্রমী এবং ইতিবাচক। তিনি সবসময় পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নের পক্ষে লিখেছেন।
রামগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন লাভলু বলেন, একটা সময় পাহাড়ের অভাব-অনটন, আশা-প্রত্যাশা আর দুঃখ-বেদনার খবর লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল শুধুমাত্র সংবাদপত্র কিংবা সাংবাদিকতা পার্বত্যাঞ্চলে ছিল না বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সম্ভাবনাময়ী এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানো গেলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম কত যে সম্ভাবনায়মী তা তুলে ধরার মতো কলমসৈনিকের বড় অভাব ছিল। এছাড়াও ১৯৭৫ সালের দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ সময় এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল অত্যন্ত দুর্গম ও দুর্বিসহ ব্যাপার। না ছিল রাস্তাঘাট, না ছিল পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, না ছিল সুযোগ-সুবিধা। সেই কঠিন সময়ে সংবাদপত্র প্রকাশের মতো কঠিন কাজটি করেছেন এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। তাঁর অদম্য সাহস আর সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার কারণে তিনি সেই সময় এমন কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পার করেই তিনি আজকের এই অবস্থানে।
পূর্বকোণ সংবাদ পত্রের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জরুহুল আলম বলেন, পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের অবাধ তথ্য প্রবাহকে উন্মুক্ত করেছেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই সাংবাদিকতা শুরু এবং সংবাদপত্রের বিকাশ ঘটেছে; এটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আমাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণাদাতা। তিনি পার্বত্য জেলায় আজ যে সংবাদপত্র ও অসংখ্য সাংবাদিক সৃষ্টি হয়েছে তা এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ দেখানো পথ ধরেই সৃষ্টি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও প্রেস ক্লাবের সদস্য নুরুল আজম বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একজন সর্বজন পরিচিত সজ্জল ব্যক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের বিকাশে তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান। তাঁর হাত ধরেই তিন পার্বত্য জেলায় সাংবাদিকতা শুরু হয়েছে এবং তাঁর মাধ্যমেই সংবাদপত্রের বিকাশ ঘটেছে। আমার সাথে পরিচয়ের পর থেকেই তাঁকে সবসময় হাস্যোজ্বল দেখতাম। তাঁর কলম সবসময় মানুষের কল্যাণেই চলেছে। তিনি আমার খুবই পছন্দনীয় ব্যক্তি। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের অহংকার। এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদ জাতীয় বা আর্ন্তজাতিকভাবে তেমন একটা প্রচার হতো না। সাংবাদিকতা পেশার লোক পার্বত্য চট্টগ্রামে না থাকার কারণে এখানকার মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, চাওয়া-পাওয়ার সংবাদগুলো কোথাও প্রচার হতো না। সেই সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। এমন একটি কঠিন পরিস্থিতির সময় সাংবাদিকতার মতো দুঃসাহসিক পেশার বীজ বপন করলেন এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। আর একের পর এক পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদ দেশি- বিদেশি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপাতে লাগলেন। সরকারের দৃষ্টিতে আসতে শুরু করলো এখানকার বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনার বিষয়টি। ফলে সরকারের পক্ষ থেকেও পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এভাবে পাল্টে যেতে থাকে পাহাড়ের চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সার্বিক উন্নয়নে রয়েছে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের বনভূমিও গিরিদর্পণের লিখনী শক্তির অবদান। আজ তাঁরই হাত ধরে তিন পার্বত্য জেলায় অসংখ্য ছেলেমেয়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন আর সংবাদপত্রেরও বিকাশ ঘটছে। এ, কে,এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ।
একুশে টেলিভিশন এর জেলা প্রতিনিধি- চিম্মেপ্রু মারমা বলেছেন, সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের প্রকাশিত সাপ্তাহিক বনভূমি’র মাধ্যমে এখানকার ছেলেমেয়েরা সাহিত্যচর্চার সুযোগ পায়। অনেক লেখক-কবি সাহিত্যিক সৃষ্টি হয়েছে সাপ্তাহিক বনভূমি’র মাধ্যমে। যারা আজ মাধ্যমে তিন জেলার অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিতে পেরেছে। দৈনিক গিরিদপর্ণ’র হাত ধরে উঠে আসা এসব সাংবাদিকের অনেকেই দেশের জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করছে।
খাগড়াছড়ি গিরিদর্পনের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার ক্ষেতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই তিন পার্বত্য জেলায় সাংবাদিকতার শুরু। তিনিই প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক বনভূমি পরবর্তীতে দৈনিক গিরিদর্পন প্রকাশের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের দ্বার উন্মোচন করেছেন।
বাংলা ভিশন টেলিভিশনের এইচ এম প্রফুল্ল এবং যায় যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি রিপন সরকার, একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি রূপায়ন দেওয়ান, আমার সংবাদ প্রতিনিধি শংকর চৌধুরী, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি বিপ্লব দে তারা বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বহুল প্রচারিত দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ কে স্বর্ণপদক দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই সাংবাদিকরা জোর দাবী জানিয়েছেন। অপরদিকে খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ীর সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী এবং খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল কাশেম এবং সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে এ,কে,এম মকছুদ যেন স্বর্ণপদক পায়। খাগড়াছড়ি সর্বস্তরের মানুষও এই দাবী জানিয়েছেন।
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। একেএম মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার প্রতিকৃত মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদকের পুরস্কৃত করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে।
বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সহ সভাপতি নাছিরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক বলেন, পাহাড়ের এই মানুষটি সাংবাদিক সৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো। তাই পাহাড়ের এই সংসপ্তক চারন সাংবাদিক আলহাজ্ব একেএম মাকছুদকে জাতীয় পর্যায়ে তার অবদানকে মুল্যায়ন করা উচিত। তার এই অসামান্য অবদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একুশে পদক প্রাপ্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।
এছাড়াও রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলায় সংবাদপত্রের সাথে যারা জড়িত আছে, তারাও একই কথা জানিয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আলহাজ্ব এ,কে.এম মকছুদ আহমেদ’কে একুশে পদক দেওয়ার জন্য সকল সাংবাদিক আপনার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।