খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বিনাধান-১৬ মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন

231

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিনা)কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পকালীন আমন ধানের জাত বিনাধান-১৬ মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন অনুষ্ঠান-২০ অনুষ্টিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ভোলাছোলা বিলে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমন গুপ্ত’র সঞ্চলনায় এবং কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিনাধান-১৬ মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মর্তুজা আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র, খাগড়াছড়ি’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ.বি.এম শফিউল আলম, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ও সাংবাদিক মো. ইসমাইল হোসেন ও কৃষক প্রতিনিধি কংচাইরী মারমা প্রমূখ। কর্মসূচীর শুরুতে অতিথি’রা বিনাধান-১৬ ’র ফসল কর্তন করেন। এ সময় তারা বিনার উৎপাদিত ধান দেখে সকলে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, হেক্টর প্রতি সাড়ে ৫ টন ধান উৎপাদন কেবল বিনা’র পক্ষেই সম্ভব। অন্য কোন জাতের ধানে এটা সম্ভব না। বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৯ এবং বিনা সরিষা-৯ এখানে চাষাবাদ করে লাভবান হবে কৃষকরা। পরে ভোলাছোলা বাজারে সমবেত কৃষকদের নিয়ে অনুষ্টিত হয় মাঠ দিবস অনুষ্ঠান। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ। পরে বিনা’র উপকেন্দ্র খাগড়াছড়ি’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ.বি.এম শফিউল আলম ও উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মর্তুজা আলী কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের প্রাণ হলো কৃষক। কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁজবে আর খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে জাতি। তাই কৃষক ভাই’রা বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পকালীন আমন ধানের জাত বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৯ এবং বিনা সরিষা-৯ সহ নতুন নতুন উদ্ভাবিত বীজ রোপন করে বেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজন শুধু কৃষিবিদ’দের সাথে সব সময় সমন্বয় রেখে চাষাবাদ করা। তাহলে কৃষকরা তাদের শ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ সফলতার মূখ দেখবে। আগামীতে বিনা আরো নতুন নতুন উদ্ভাবণ নিয়ে কাজ করছে।