বর্ণাঢ্য আয়োজনে নানিয়ারচর সেনা জোনের পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি পালন

435

নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় নানিয়ারচর সেনা জোনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নানা কমসূচী পালিত হয়েছে।

এসব কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো শান্তি র‌্যালী, আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতিভোজ ও উপজেলা মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন।

সোমবার দিনব্যাপী আয়োজনে শুরুতেই সকালে স্থানীয় প্রশাসন, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারন জনগনের সমন্বয়ে একটি শান্তি র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। র‌্যালীটি উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে শুরু হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সমূহ প্রদক্ষিন করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নানিয়ারচর সেনা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ কাইয়ুম হোসেন (পিএসসি)’র সভাপতিত্বে সভায় নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ পারভেজ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমাসহ ভাইস চেয়ারম্যানগন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় লেঃ কর্নেল মোঃ কাইয়ুম হোসেন (পিএসসি)’র বলেন, শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা সকল কিছু দৃশ্যমান। যদি এলাকায় এলাকায় শান্তি বিরাজ করে তাহলে এই উন্নয়ন আরো দ্বিগুন তরান্বিত হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে থেকে ‘সবার আগে দেশ আমার’ এই বিশ্বাসে সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচান সভা শেষে, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ মাঠে নানিয়ারচর সরকারী কলেজ এবং নানিয়ারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে ম্যাচ শেষে দুপুরে নানিয়ারচর জোন সদরে বিশেষ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রীতিভোজে আমন্ত্রণিত অথিতিবৃন্দরা অংশগহন করেন।

এছাড়াও দিনব্যাপী কর্মসূচিতে বিকাল ৪টায় নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সেনাসদস্যসহ স্থানীয় এবং অতিথি শিল্পিদের অংশগ্রহনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ কাইয়ুম হোসেন (পিএসসি) সকল কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন।

নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানগন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃদ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন এবং পাহাড়ী ও বাঙ্গালী সর্বস্তরের জনগন সকল কর্মসূচীতে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করেন।