গ্রাম আদালত পাহাড়ে ন্যায় বিচারের সুযোগ বাড়াবে

543

পাহাড়ের আলো ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ বাড়াবে গ্রাম আদালত। এতে দুর্গম পাহাড়ি জীবনমানের উন্নয়ন হবে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটি পর্যটন মোটেলের কনফারেন্স হলরুমে গ্রাম আদালত প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় পার্বত্য অঞ্চলে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল ইসলাম বলেন, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সব ধরনের সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। গ্রাম আদালত এমনই একটি সেবা যা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনকে আঞ্চলিক ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী করে তুলবে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমূল্যে ও দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচারের সুযোগ নিশ্চিত করা যাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময়ই বাংলাদেশের সামাজিক ন্যায়বিচারকে শক্তিশালী করে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ইউএনডিপির বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, কাউকে পিছনে না রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর সে কারণে অবশ্যই সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। গ্রাম আদালত বাংলাদেশের ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে এবং এবার পার্বত্য চট্টগ্রামের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ন্যায়বিচারের সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এলজিডির যুগ্ম-সচিব ও এভিসিবি-২ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক রোখসানা কাদের, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনডিপির হেড অব কমিউনিকেশন্স মো. আব্দুল কাইয়্যুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়, অনুষ্ঠানে হিল ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম রিজিওনাল কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। কৃতজ্ঞতা: বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর