খাগড়াছড়িতে মাইনী নদীতে পানি বাড়ছে, মেরুং বাজারের অর্ধেক প্লাবিত

442

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি : বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ও মাইনী নদীতে পানি প্রবাহ কমছেনা। এখনো নিচু এলাকার কয়েক‘শ ঘরবাড়িতে পানি রয়েছে। তবে গেলো রাতে কিছুটা পানি কমলেও ভারি বর্ষণের কারণে আবারও পানি বাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জেলা শহরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া ও শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০ এর বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। গঞ্জপাড়ার কয়েকটি পরিবার উঠেছেন গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে।

এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী নদীতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে মেরুং বাজারের অধিকাংশ স্থানে পানি উঠেছে। উপজেলার মেরুং, কবাখালী ও বাবুছড়া ইউনিয়নে অন্তত ১০টি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। এদিকে বন্যার পানিতে বড়মেরুং স্টিলব্রিজ ডুবে যাওয়ায় দীঘিনালার সাথে রাঙ্গামাটির লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে টানা বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রাখার পরও অনেকেই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে থাকছেন পাহাড়ের পাদদেশে এবং পাহাড় চুড়ায়।

নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যারা সরেননি; এমন অন্তত ৩০টি পরিবারকে মঙ্গলবার বিকালে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন ও আইন শৃংখলাবাহিনী। জেলা সদরের শালবনে অভিযান চলাকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার দীঘিনালার দূর্গম উল্টাছড়িতে পাহাড় ধসে যুগেন্দ্র চাকমা (৪০) নিহত হন। পাহাড়ের চুড়ায় তাদের ঘর ছিল। ঘরটি ধসে পড়লে তার মৃত্যু ঘটে। পরিবারের অন্য সদস্যরা সামান্য আহত হয়।

অপরদিকে টানা বর্ষনের ফলে পানছড়ির দুদুকছড়া, হারুবিল, বাবুরাপাড়া, মধুমঙ্গলপাড়া, পুজগাং বাজারসহ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেয়ে। দুদুকছড়া ব্রিজের মাঝখানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। বাবুরাপাড়ায় স্টিল ব্রীজ ও পুজগাং ব্রীজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ২০/৩০টি গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

পানছড়ি উপজেলা নির্বহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।