বাধার কারণে পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম গড়ে উঠতে পারেনি – দীপংকর তালুকদার এমপি

327

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি- পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু মহলের বাধার কারণে পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম গড়ে উঠতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু সংসদীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও জনগণের কল্যাণ সাধনই সকলের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তাই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পরিহার করে সবাইকে ইতিবাচক চিন্তা চেতনা নিয়ে জনকল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য অঞ্চলে সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু সংসদীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বন উজাড়। যা পাহাড়ে বিভিন্ন কারণে বন উজাড় হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পার্বত্য অঞ্চলে সামাজিক বনায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছিল।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি (এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপি’র আওতায় সিএইচটি ক্লাইমেট রেজিলেন্স প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে ও এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা’র পরিচালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন (এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপি’র ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজি মোঃ মুছা মাতব্বর, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা।।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা থাকা একান্ত প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জনগণের সম্পৃক্ততা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এসব সমস্যা সরকার বা বেসরকারি সংস্থার একার পক্ষে সমাধান সম্ভব না। তিনি শহরের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও প্রান্তিক এলাকার জনগণকে সম্পৃক্ত করে জলবায়ু মোকাবেলায় তাদের সকলকে সচেতন করে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কার্বারি, এনজিও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।