ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ প্রাইভেট শিক্ষকের শিশু হত্যা

351

নিজস্ব প্রতিবদেক,রাঙ্গামাটি – রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া শিশুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় উমবাচিং মং মারমা (৪০) নামে এক প্রাইভেট শিক্ষক শিশু শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে।

শনিবার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এলাকায় শিশু ধর্ষনের মতো এ জঘন্য ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশু ছাত্রীটির পিতা বাদী হয়ে চন্দ্রঘোনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ৯/২ এর ২০১ দন্ডবিধিতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১। রোববার ভোরে শিশু ধর্ষণকারী অভিযুক্ত শিক্ষক উম্বাচিং মারমা গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

উম্বাচিংয়ের বিষয়ে জানা যায়, সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খন্ডখালীন শিক্ষক ছিল । উম্বাচিং বান্দরবানে পিটিআই ট্রেনিং নেয়ার পরে আর কোন স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেনি। তারপর থেকে সে প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে উম্বাচিং কাপ্তাই যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে আগে বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসাপ্রু মার্মা বসবাস করতেন। বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসাপ্রু মার্মার সাথে সুসম্পর্কের কারণে সেখানে থাকার সুযোগ পান উম্বাচিং। তবে কাপ্তাইয়ে আসার ২৫দিনের মধ্যে উম্বাচিং শিশু ধর্ষণের মতো গর্হিত কাজ করে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, প্রথম দিন প্রাইভেট পড়তে এসেই প্রাইভেট শিক্ষক উম্বাচিংয়ের হাতে ধর্ষণ চেষ্টার পর হত্যার শিকার হয় শিশু শিক্ষার্থী।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার ভোরে কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব-কোদালা উমবাচিং মারমার বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় চার শিশু। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ানো শেষে অপর তিন শিশুকে ছুটি দিলেও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া ওই শিশুকে থাকতে বলে প্রাইভেট শিক্ষক উমবাচিং। বিকাল পেরিয়ে যাওয়ার পরে ও বাসায় না আসায় শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা।

পরে পরিবারের সদস্যরা প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় গিয়ে শিশুটির খোঁজ নেন। তখন চার শিশুকে ছুটি দিয়েছে বলে জানায় উমবাচিং। কিন্তু তার অসংলগ্ন কথা-বার্তায় পরিবারের সদস্যদের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে শিশুটির নিখোঁজের বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান পরিবারের সদস্যরা।

প্রাইভেট শিক্ষক উম্বাচিংকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে স্বীকার করে। উম্বাচিং জানায় শিশুটি ধর্ষনের চেষ্টাকালে শিশুটি চিৎকারজুড়ে চেচামেচি শুরু করলে সে ব্যর্থ হয়। এতে ব্যর্থ হওয়ায় সে গলায় পাটের সুতলী ও গামছা পেঁচিয়ে নিষ্পাপ শিশুটিকে হত্যা কওে করেছে বলে স্বীকার করে।

শিশু ধর্ষণ চেষ্টার পর হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, রোববার ভোরে শিশুটির মৃতদেহ বস্তায় ভরে পানিতে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকারী উমবাচিং মং মারমা থানা হেফাজতে আছে। সোমবার তাকে আদালতে চালান দেয়া হবে জানান পুলিশ।