এ্যাড. শক্তিমান চাকমা হত্যার অন্যতম আসামী ইউপিডিএফ সমর্থিত ছাত্র পরিষদ সভাপতি অস্ত্রসহ আটক

770

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক – নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. শক্তিমান চাকমা হত্যার অন্যতম আসামি ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদকে হত্যার হুমকিদাতা ইউপিডিএফ (প্রসিত বিকাশ খীসা গ্রুপ সমর্থিত) এর রাঙ্গামাটি জেলা শাখার পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি কুনেন্টু চাকমাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে রাঙ্গামাটি শহরের কুতুকছড়ি উপরপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ সময় আটককৃত কুনেন্টু চাকমার কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ নগদ ৪ লক্ষাধিক টাকা, ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই এবং ৪ সেট মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আনোয়ার জানান, আটক কুনেন্টু চাকমা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ধামেরপাড়ার বাসিন্দা ধন মোহন চাকমার ছেলে।

সে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যার অন্যতম আসামি। তিনি আরো জানান, ইউপিডিএফ এর চীফ কালেকটর রবি চন্দ্র চাকমা ওরফে অর্কিড চাকমা ওরফে অর্ণব বাবু,গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের আহবায়ক ধর্মসিংহ চাকমা, ইউপিডিএফের কাউখালী উপজেলার সংগঠক স¤্রাট চাকমা, সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য রনজিৎ চাকমাসহ আর ও কয়েকজন একত্রিত হয়ে নগদ উত্তোলিত চাঁদা বন্টন সংক্রান্ত গোপন বৈঠক করছিল। এসময় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুনেন্টু চাকমাকে আটক করা হলে ও অন্যরা পালিয়ে যায়।

আটকের পর সন্ধ্যার দিকে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তল, টাকা, অন্য সরঞ্জামাদিসহ কুনেন্টু চাকমাকে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন সদর দফতরে মিডিয়াকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় কুনেন্টু চাকমা উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দেয়।

আটক কুনেন্টু চাকমা জানায়, ইউপিডিএফের নেতা অর্কিড চাকমাসহ অন্যদের নির্দেশে সে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদসহ স্থানীয় প্রশাসনসহ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও অন্যান্য গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তিবর্গদেও হুমকি প্রদান করেছে।

মিডিয়াকর্মীদের কাছে দেয়া বক্তব্যে এসব উল্লেখিত এসব তথ্য সরাসরি স্বীকার করে কুনেন্টু চাকমা। পরে তাকে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে যৌথ বাহিনীর এ ধরনের অভিযানর অব্যাহত থাকবে।