পর্যটকদের পদভারে মূখর পাহাড়ী কন্যা রাঙ্গামাটি

929

নিজস্ব প্রতিবেদক – প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলাভূমি পাহাড়ী কন্যা পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি এখন পর্যটকদের পদভারে মূখরিত। রাঙ্গামাটির প্রতিটি পর্যটন স্পটগুলোতে এখন পর্যটকদের পদচারণায় মূখর।পরিবার পরিজন নিয়ে দেশী বিদেশী পর্যটকরা এখন পাহাড়ের নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন মনের আনন্দে। পর্যটকের সমাগম আরো বাড়তে পারে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা ছুটে বেড়াচ্ছে সবুজ পাহাড় ঘেরা নয়নাভিরাম কাপ্তাই লেকসহ আকর্ষনীয় পর্যটন স্পটগুলোতে। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর অনেকে খুশি হলে ও পর্যটন এলাকার বিভিন্ন স্পটগুলোর সংস্কার করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন অনেক পর্যটক। তবে অনেক পর্যটক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোড়দার করার আহবান ও জানিয়েছেন।

তবে রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা করতে টুরিষ্ট পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানান পর্যটন এলাকায় টুরিষ্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন। তিনি জানান, রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে টুরিষ্ট পুলিশ সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। এবিষয়ে জেলা পুলিশ ও সহায়তা করছে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকাতে বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের আগমন বাড়াতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভাল যাচ্ছে বলে জানান বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ রমজান আলী। তিনি বলেন, পর্যটন এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের সবসময় সেবা প্রদান করতে তাদের প্রায় শতাধিক বোট রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে বর্তমানে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে বোট ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসার সাথে জড়িতদের ব্যবসা ভাল যাচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজসহ অন্যান্য সেবামূলক সকল রাইডের সংস্কার দাবী জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন, শীতের শুরু থেকেই রাঙ্গামাটির পর্যটন মোটেলের বুকিং ভালো যাচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের আগমন। পর্যটনের ব্রীজসহ পুরো এলাকাটি আগত পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করতে নতুনভাবে সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে রাঙ্গামাটি পর্যটন মোটেল ছাড়া ও শহরের অন্যান্য আবাসিক ও অনাবাসিক হোটেলগুলোর বুকিং ভালো বলে জানিয়েছেন অনেক হোটেল ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি শহরের মোটেল জর্জ হোটেলের ম্যানেজার বেলাল হোসেন বলেন,শীতের শুরু থেকেই তাদের মোটেলের ব্যবসার অবস্থা অনেক ভালো। প্রতিদিনই মোটেলের সকল রুমই বুকিং করছে পর্যটকরা। শহরের অন্যান্য হোটেলের অবস্থা ও ভালো বলে জানিয়েছেন অনেকে।

রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিনোদনের জন্য রয়েছে পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজ, পুলিশ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত সুখী নীল গঞ্জ ও পলওয়েল , ডিসি বাংলো, নানিয়ার উপজেলার বুড়িঘাটের বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিসৌধ, শহরের ভেদভেদির মিনি চিড়িয়াখানা, রাজবন বিহার, কাপ্তাই লেক, সুভলং ঝর্ণা, পেদাটিংটিং,, টুকটুক ইকো ভিলেজসহ কাপ্তাই লেকের পাড়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন পর্যটন স্পট। রাঙ্গামাটির এসব বিনোদন কেন্দ্রে এখন মানুষের আগমন বাড়তে শুরু করায় পাহাড়ী কন্যা রাঙ্গামাটি এখন পর্যটকদের পদচারণায় অনেকটাই মূখরই বলা চলে।

তবে রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের জন্য এসব পর্যটন স্পটগুলো সংস্কার করে আরো বেশী যুগোপযোগী করা গেলে পর্যটন সেক্টরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন এখানকার সুধীজনরা।