নিজস্ব প্রতিবেদক – ঘটনাটি ছিল ২০১৪ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখ। রাঙ্গামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজের অদূরে কাল বৈশাখি ঝড়ের কবলে পড়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পর্যটক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী ও তাঁর নববধূ আইরিন সুলতানা লিমা।
এ ঘটনার পরের দুই দিন পুরো কাপ্তাই হ্রদ চষে ফেলেছিল ডুবুরি আর উদ্ধারকারী দল। ঘটনার তৃতীয় দিন সকালে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় হ্রদে ভেসে ওঠে দুজনের মৃতদেহ। মরণও যেন পারেনি দুজনকে আলাদা করতে। ওই বছরের অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২২ মার্চ রাঙ্গামাটির ডিসি বাংলোসংলগ্ন পার্কের পাশের হ্রদেই তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
সেই আলাউদ্দিন-লিমা দম্পতিসহ পৃথিবীর সব ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পলওয়েল পার্কে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম লাভ পয়েন্ট। যেখানে ভালোবাসার স্মারক হিসেবে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা রয়েছে এবং এখানে বেড়াতে আসা প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীরা নিজেদের পারস্পরিক বন্ধনের চিহ্ন হিসেবে একটি স্ট্যান্ডে তালা ঝুলিয়ে চাবিটি কাপ্তাই হ্রদে ছুড়ে ফেলবেন।
কিন্তু আলাউদ্দিন-লিমা দম্পতির জীবনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার বর্ননা এ লাভ পয়েন্টের কোথাও লেখা নেই। ফলে দুরদুরান্ত থেকে রাঙ্গামাটি বেড়াতে আসা মানুষেরা কি জন্য লাভ পয়েন্ট করা হলো সে বিষয়ে জানতে পারছেনা। কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমনে মানুষকে আরো সচেতন করতে আর ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করতে আলাউদ্দিন-লিমা স্মরনে নির্মিত লাভ পয়েন্টে তাদের ঘটনার বর্ননা দিয়ে লোকজনকে জানানোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে রাঙ্গামাটির লাভ পয়েন্ট নির্মানের উদ্দেশ্য সফল হবেনা। নতুন প্রজন্ম কিংবা আপামর জনসাধারন জানতে পারবেন না আলাউদ্দিন ও লিমার ভালবাসায় গাথাঁ এ মর্মান্তিক ঘটনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে জনগনের এটাই প্রত্যাশা।