সাংবাদিকতা (বাংলা ট্রিবিউন থেকে নেয়া)

1275

আমীন আল রশীদ (বাংলা ট্রিব্উন থেকে নেয়া)- একসময়ের ডাকসাইটে সংবাদপত্র, বাংলাদেশে আধুনিক সংবাদপত্রের অন্যতম পথিকৃত দৈনিক জনকণ্ঠ’র একজন সাংবাদিকের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচেভেলেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘২৬ মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা শহরে থাকতে গেলে…, আমার বাচ্চাকাচ্চা আছে…, এক বছর আগে আমি বাসা শিফট করে নিচতলায় ভাড়া নিয়েছি, যেখানে ভাড়া কম। যেটা আসলে খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। আমি একজন পিতা হওয়ার পরও আমি আমার সন্তানদের উপযুক্ত সুবিধা দিতে পারছি না। অথচ এই দেশে আমি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে পাস করে সাংবাদিকতা পেশায় এসেছিলাম। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ডিসিশন বলে আমি মনে করি।’ তার এই কান্নাজড়ানো ভিডিওটি দেখার পরে কোনও সংবেদনশীল মানুষের পক্ষে চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন।
বাস্তবতা হলো, এখন সাংবাদিকদের অনেকেই এটি মনে করা শুরু করেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে সাংবাদিকতার মতো আপাত সম্মানজনক এবং প্রভাবশালী পেশায় আসাটা ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। নীরবে জরিপ চালালে এই সংখ্যাটির যে আকার দাঁড়াবে, তা আমরা যারা গণমাধ্যমকর্মী এবং সংকটাপন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখি, তারা মোটামুটি আন্দাজ করতে পারি। কিন্তু অন্যের মানবাধিকার নিয়ে সদা জাগ্রত এবং রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের কথিত এই ‘ওয়াচডগ’দের নিজেদের মানবাধিকার যে প্রতিনিয়নত ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, সেই খবর ক’জন রাখেন?

আজ যদি কোনও পোশাক কারখানায়, কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিংবা অন্য কোনও কোম্পানিতে ২৬ মাস বেতন বন্ধ থাকতো এবং কর্মীরা এভাবে রাস্তায় নেমে আসতেন, টেলিভিশনগুলো সেই বিক্ষোভের লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচার করতো। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ছবি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হতো। কিন্তু জনকণ্ঠে যে ২৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ, বেতনের দাবিতে যে কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন এবং তাদের বিক্ষোভের কারণে ২৩ ডিসেম্বর পত্রিকাই প্রকাশিত হয়নি, সেই সংবাদটি কয়টি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে? কয়টি টিভি লাইভ করেছে? কয়টি পত্রিকায় এসেছে? কেন আসেনি?

অনেক দিন আগে এ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধে লিখেছিলাম, যখন কোনও পুলিশ বিপদে পড়েন, প্রথম ফোনটা তিনি তার একজন সাংবাদিক বন্ধুকে দেন। যখন কোনও ডাক্তার ঝামেলায় পড়েন, প্রথম ফোনটা সাংবাদিককে দেন। যখন কোনও আইনজীবী কিংবা ব্যাংকার বিপদে পড়েন, প্রথম ফোনটি সাংবাদিককে দেন। ঈদের সময় যখন তাদের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন হয়, বাস-ট্রেন-লঞ্চের টিকিটের জন্য সাংবাদিকই ভরসা। সরকারি হাসপাতালে কেবিনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে ব্যর্থ হওয়ার পরও ভরসার নাম সাংবাদিক। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকে দিলেও সাংবাদিক বন্ধুকে ফোন দেন। কিন্তু সাংবাদিক নিজে যখন বিপদে পড়েন, তিনি কাকে ফোন করবেন?

আগামীকাল যদি আমার চাকরিটা চলে যায়, আমি আমার কোন বন্ধুকে ফোন করবো? অন্যের বিপদে গিয়ে সবার আগে দাঁড়ায় যে লোক, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, তিনি একজন সাংবাদিক। আপনি উঠতে-বসতে যতই গালাগাল দিন না কেন, আপনার সবশেষ ভরসার নাম গণমাধ্যম। কিন্তু সেই গণমাধ্যম যখন সংকটে পড়ে, সেই গণমাধ্যমকর্মী যখন ২৬ মাস বেতন না হওয়ার ফলে বাজার করতে পারেন না, ছোট সন্তানের জন্য দুধ কিনতে পারেন না, অসুস্থ বাবাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না, তখন তাদের সেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের গল্পগুলো তার ব্যক্তিগত জীবনের ডায়েরিতে অপ্রকাশিত থেকে যায়। কারণ, তার এই গল্প কেউ ছাপে না।

সাংবাদিকের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে কেউ রাস্তায় নামে না। আবার তার নিজের যেহেতু আত্মসম্মানবোধ অনেক বেশি, যেহেতু সে মন্ত্রীকেও ভাই বলে, যেহেতু সে সচিবের কক্ষে বিনা অনুমতিতে ঢুকে যায়, যেহেতু সে পুলিশ কমিশনারকে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স পায়, যেহেতু সে হাসপাতালের পরিচালককে ফোন করলেই কেবিনের ব্যবস্থা হয়ে যায়—ফলে সে তার নিজের জীবনের সংকটের গল্পটি ইস্ত্রি করা পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে রাখেন। কারণ,দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদরা তাকে দেখলে আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। কাঁধে হাত দিয়ে পরিবারের খবর নেন। কিন্তু ২৬ মাস ধরে যে তার বেতন হচ্ছে না এবং তিনি যে সন্তানের দুধ কিনতে পারেননি, সেই খবর নেওয়ার কেউ নেই। ফলে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর তাকে সিঁড়িতে বসে যেতে হয় দাবি আদায়ের জন্য।

দেশের গণমাধ্যমের এই সংকট নতুন কিছু নয়। এ মুহূর্তে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমের একই অবস্থা। মাসের পর মাস বেতন হয় না। এরমধ্যে অনেক নামিদামি টেলিভিশনের নামও শোনা যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও ওই একই আক্ষেপ যে, ভালোবেসে সাংবাদিকতায় আসাটাই ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। আবার যেসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বেতন-বোনাস-ইনক্রিমেন্ট হয়, তারও অনেক জায়গায় জব সিকিউরিটি বা চাকরির নিশ্চয়তা বলে কিছু নেই। যেকোনও সময় যে কারও চাকরি চলে যেতে পারে। জুনিয়র থাকা অবস্থায় চাকরি পাওয়ার মোটামুটি নিশ্চয়তা থাকলেও সিনিয়রদের বিপদ বেশি। বড় পদ আর বেশি বেতনে লোক নিতে চাওয়ার আগ্রহ অনেক গণমাধ্যমেই কম থাকে। অধিকাংশই এখন ফ্রেশার খোঁজেন। আমরা অনেক সময় রসিকতা করে বলি, ফ্রেশার নিউজ এডিটর, ফ্রেশার সিএনই, ফ্রেশার ইডি নেওয়া যেতে পারে। কারণ, ফ্রেশারদের দিয়েই যেহেতু সব কাজ হয়ে যাচ্ছে, খামোখা অভিজ্ঞদের বেশি বেতন আর বড় পদ দিয়ে লাভ কী?

যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত বেতন দেয়, বিশেষ করে টেলিভিশনে কোনও বেতন কাঠামো বা ওয়েজ বোর্ড নেই। অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুয়িটি নেই। ফলে বছর পাঁচেক কোনও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার পরে তিনি যদি কোনও কারণে চাকরি ছেড়ে দেন বা চাকরি চলে যায়, তাকে এক অর্থে শূন্যহাতেই চলে যেতে হবে। পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড থাকলেও হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছাড়া অনেকেই এসব ওয়েজবোর্ডের ধার ধারে না। সরকারের নজরদারি করার কথা। কিন্তু কে কার নজরদারি করবে?

২২ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিকদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই একবাক্যে এটি স্বীকার করেছেন যে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ এই পেশাগত অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক বিভাজন। প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন এমনকি এসব সংগঠনের বাইরে ব্যক্তিপর্যায়েও সাংবাদিকরা বিভক্ত। কে কোন দলের পার্পাস সার্ভ করছেন, তা নিয়ে এখন আর কেউ রাখঢাক করেন না। অথচ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে বলা হয় ‘ওয়াচডগ’। মানে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তিনি দেখবেন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশ ও প্রচার করবেন।

২.

বাংলাদেশের গণমাধ্যম কোনও আমলেই খুব সুখকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়নি। নানা ধরনের আইনি ও রাজনৈতিক চাপ এবং মালিক ও বিজ্ঞাপনদাতার স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে তাকে পদে পদে অনেক সময়ই আপস করতে হয়। ফলে বস্তুনিষ্ঠতা তার কাছে অনেক সময়ই সোনার হরিণে পরিণত হয়। অথচ গণমাধ্যমের কাছে মানুষের প্রত্যাশার শেষ নেই। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, প্রকৃত ঘটনাটি তারা জানতে পারবেন পত্রিকা পড়ে, টেলিভিশন দেখে কিংবা রেডিও শুনে। কিন্তু সাংবাদিকরা যে কী ভীষণ শাঁখের করাতের মধ্য দিয়ে কাজ করেন, সাংবাদিকরা নিজেরাই যে কী ভীষণ সংকটের ভেতর দিয়ে দিনাতিপাত করেন, সেসব খবর মানুষের জানার কথা নয়। সাংবাদিকরা সেগুলো মানুষকে জানাতেও চায় না। কিন্তু অপেক্ষা আর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে তাদের সিঁড়িতে বসে যেতে হয়।

২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অকস্মাৎ বন্ধে করে দেওয়া হয় দৈনিক সকালের খবর। এর আট মাসের মাথায় গত ৩১ মে বন্ধ হয়ে যায় দৈনিক আমার দিন। পত্রিকাটির স্লোগান ছিল ‘নিরপেক্ষ নই আমরা’। এরকম ব্যতিক্রমী স্লোগানে একটি নতুন পত্রিকা আসছে, ঝকঝকে তার অফিস, অনেক চেনাজানা মুখ, প্রথিতযশা সাংবাদিক সেখানে যোগ দিয়েছেন—এরকম ভালো লাগার রেশ না কাটতেই এবং পত্রিকাটি প্রকাশের আগেই এটি বন্ধের ঘোষণা করে দেয় মালিকপক্ষ। যেদিন পত্রিকাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তখন ছিল রমজান মাস। সারা দিন রোজা রেখে শেষ বিকেলে বিনা নোটিশে আকস্মিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ঘোষণা শোনেন কর্মীরা। সেবার জীবনের সবচেয়ে বিষাদময় ঈদ কাটিয়েছেন এই পত্রিকার সংবাদকর্মীরা।

২০০৭ সালে রোজার ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে তৎকালীন কর্মস্থল দৈনিক যায়যায়দিনের গেটে ১১০ জন সহকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেখেছিলাম। সেই তালিকার নিজের নামটি না দেখে ভাগ্যবান মনে হলেও, সাংবাদিকতার চাকরি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, প্রথমবারের মতো সেটি টের পাই। যাদের সাথে একসঙ্গে এতদিন কাজ করলাম পাশাপাশি চেয়ারে বসে, যাদের সঙ্গে চা খেতাম, আড্ডা দিতাম, সেই মানুষগুলো এখন থেকে আর আমার সহকর্মী নন, এ কথা ভাবতেই বুকের ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে।

এ কথা অস্বীকার করার কি কোনও সুযোগ আছে যে, কিছু মালিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দেন তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার জন্য? গাড়িতে প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় সুবিধা পাওয়ার জন্য; সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের কাছে তদবির সহজ করার জন্য। কিন্তু এতেও দোষের কিছু নেই। কেননা, একজন মালিক কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেখান থেকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতেই চাইবেন। বরং এর বিনিময়ে কিছু লোকের যে কর্মসংস্থান হলো, লক্ষ লক্ষ পরিবারের মুখে যে হাসি ফুটলো, সেটি অনেক বড় ব্যাপার। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও এর একটি বিরাট অবদান রয়েছে।

কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। তা হলো, আমাদের অনেক গণপ্রতিষ্ঠানেই কোনও পেশাদারিত্বের চর্চা হয় না। প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাদের অধিকাংশই নিজেদের চাকরি বাঁচিয়ে চলেন। প্রতিষ্ঠানটিকে লাভবান করার জন্য যে ধরনের নিরপেক্ষতা আর পেশাদারিত্বের চর্চা করা দরকার।

দ্বিতীয়ত, এখন সংবাদপত্রের লাভজনক হওয়া বেশ কঠিন। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় মুদ্রিত সংবাদপত্রের বিক্রি কমে গেছে। আবার বিজ্ঞাপনের বাজারও সীমিত। হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদপত্র বাদে বাকিরা কাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন পায় না। বিজ্ঞাপনের বিল আটকে থাকে বছরের পর বছর। মালিক বেশি দিন ভর্তুকিও দিতে চায় না। সব মিলিয়ে সংবাদপত্রের টিকে থাকা বেশ কঠিন।

এসব কারণে বারবারই গণমাধ্যমের মালিকানা কার হাতে থাকবে, তা একটি বড় অ্যাকাডেমিক তর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, সাংবাদিকরাই যখন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক হবেন, তখন তারা নিজেদের স্বার্থেই সেটিকে পেশাদার করে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন, এমনটি মনে করা হয়। কেননা, সেখানে মালিকের আর দশটা এজেন্ডা বাস্তবায়নের তাড়া থাকবে না। আবার এও ঠিক যে, অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের কারণেই দাঁড়ায় না, অর্থাৎ পেশাদার হয়ে ওঠে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে থাকে মাথাভারি প্রশাসন। অনেক অযোগ্য লোক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে বসে থাকেন যারা কেবল নিজের চাকরি বাঁচানোয় ত্রস্ত থাকেন। আখেরে তিনি প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে পারেন না, নিজেকে তো নয়ই। এসব কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই বলেই মনে হয়। ফলে যখন একজন সংবাদকর্মী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় আসাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, তখন মনে হয় তিনি আমার মনের কথাটিই বলে দিলেন