আসামবস্তী বুদ্ধাঙ্কুর বিহারে ২দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব পালিত

1034

নিজস্ব প্রতিবেদক – আসামবস্তী বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯তম কঠিন চিবর দানোৎসব পালিত হয়েছে। আসামবস্তী বুদ্ধাঙ্কুর বিহারে ২দিন ব্যাপী আয়োজিত কঠিন চিবর দান বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থার সাধারন সম্পাদক উদয়ন বড়–য়া।

উৎসবের প্রথম দিনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নানা শ্রেনী পেশার মানুষেরা উৎসবের মধ্য দিয়ে আসামবস্তী বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে ১৯তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে।
বৃহস্পতিবার বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার ও রাঙ্গামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ভেদভেদী সংঘরাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মকীর্তি মহাথেরোর সভাপতিত্বে প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে পটিয়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যাক্ষ ভদন্ত ড. সংঘপ্রিয় মহাথের উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ কুমার বড়–য়া, সংস্থার সভাপতি ডা: সুপ্রিয় বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়–য়া ও কঠিন চীবর দান উৎসবের আহবায়ক সুকুমার বড়–য়া প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ পূর্ণার্থীরা পঞ্চশীল প্রার্থনা করে ভিক্ষু সংঘকে চীবর দান করেন। ভিক্ষু সংঘ চীবর গ্রহন করেন এবং কঠিন চীবর দান উৎসবে পূর্ণার্থীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম কলেজের পালি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.অর্থদর্শী বড়–য়া ধর্মদেশনা (ধর্মীয় উপদেশ) দেন। চীবর দান অনুষ্ঠানে মঙ্গলাচারণ করেন বিহারের অধ্যক্ষ করুনা পাল ভিক্ষু।

এর আগে কঠিন চীবর দান উপলে বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে ভোর থেকে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। ভোরে প্রার্থনা ও সূত্র পাঠের মাধ্যমে উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় ফানুস বাতি উড়িয়ে এবং বিহার প্রাঙ্গনে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বৌদ্ধ কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শত শত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।