নিজস্ব প্রতিবেদক- রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধাধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। বৌদ্ধাধর্মালম্বীদের মতে, প্রবারণা হল আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা (ভিক্ষু-শ্রমন) বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করে। এসময় পূণ্যার্থীদের সাধু সাধু ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে বিহার প্রাঙ্গণ।
এ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহার, মৈত্রী বিহার, আনন্দ বিহারসহ জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারসহ রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান মহাস্থবীর বরণ ও সন্মাননা প্রদানের আযোজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি, হাজার প্রদীপ দানসহ নানান দান কার্য সম্পাদন করা হয়। এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও বৌদ্ধাধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন করা হয় রাঙ্গামাটি রাজবনবিহারে। এ উপলক্ষে রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা কার্যনিবার্হী পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ানসহ ধর্মপ্রাণ হাজারো পূণ্যার্থী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে ধর্মসভায় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথের জাতি ধর্ম বর্ণ সকলের উদ্দেশ্যে বুদ্ধের শান্তির বাণী প্রচার করেন এবং দেশ জাতি ও সকলের জন্য প্রার্থনা করেন। এছাড়া প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মহাস্থবির বরণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি, হাজার প্রদীপ দানসহ নানান দান কার্য সম্পাদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ধমীয় দেশনা দেন সুবলং শাখা বন বিহার অধ্যক্ষ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, আর্য্যনন্দ মহাস্থবির, প্রিয়তিষ্য মহাস্থবির।
বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা এই প্রবারণা পূর্নিমার মধ্য দিয়ে সকল প্রকার লোভ, হিংসা, মোহ সংঘাতসহ যাবতীয় খারাপ কাজ পরিহার করে সৎ পথে চলতে ও মৈত্রীপূর্ন মনোভাব নিয়ে একে অপরে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার হিতোপদেশ প্রদান করেন।