পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহন আইনে জটিলতা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতাকে দায়ী

783

নিজস্ব প্রতিবেদক- ভূমি মন্ত্রনালয়ের অসহযোগিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহন আইনে আবারো জটিলতা দেখা দিয়েছে। এজন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতাকে দায়ী করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভূমি মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের উপর ক্ষুব্ধ হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি, রাঙ্গামাটি সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছা থাকার পরে ও এ আইনটি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সংসদে পাঠাতে না পারার জন্য সকলেই বেঠকে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এটাই শেষ বৈঠক। আইনটি পাশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা থাকার সত্ত্বেও এ আইনটি পাশ করা সম্ভব হলোনা। কিন্তু ভূমি মন্ত্রনালয়ের অসহযোগিতার কারণেই এই আইনটি সংসদে পাঠানো গেলো না।

এই আইনটি সংসদে পাঠানো গেলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাস করে দিতেন বলেই তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং বিষয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই কমিটি না থাকলেও এই ড্রেজিং এর কাজ চলবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সমাধান না আসার খবরে পার্বত্য চট্টগ্রামে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষে দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে ও মনে করছে সাধারন মানুষ।