সু চি নিজের প্রচার করা মূল্যবোধই মানছেন না

417

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখ থেকে নয়, এবার ফেইক নিউজ (ভুয়া খবর) কথাটি উচ্চারিত হয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী ও ‘মানবাধিকারের রক্ষক’ বলে পরিচিত নেত্রী সু চির মুখ থেকে, যিনি মানবিক নেতা হিসেবে বারাক ওবামা ও আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বাহবা পেয়েছেন। বিশেষ সম্মান পেয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।

বিবিসির নিজস্ব অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মাইন (বিস্ফোরক) পুঁতে রাখার ঘটনায় গত এক সপ্তাহে হতাহতের তিনটি ঘটনা ঘটেছে। অথচ সু চি এসব সংবাদ প্রচার সন্ত্রাসীদের স্বার্থ রক্ষা করবে বলে দাবি করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সু চির বাবা আধুনিক মিয়ানমারের প্রতিষ্ঠাতা হলেও তিনি সেনাবাহিনীর এলিটদের অন্তর্ভুক্তই ছিলেন। একসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক অং সান সু চি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মতো হয়ে উঠতে পারেননি।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মিয়ানমারবিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির প্রধান রুশনারা আলী অনুষ্ঠানে বলেন, সু চির মুখ থেকে ‘ফেইক নিউজ’ মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্রিটিশ রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরের অনেক নেতা সু চিকে রোল মডেল হিসেবে ভেবেছিলেন। তিনি সবাইকে হতাশ করেছেন। মিয়ানমারের সেনাশাসকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে চাপ সৃষ্টির জন্য বিশ্ব গণ্যমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা জরুরি বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী।