বাজেট হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার: অর্থমন্ত্রী

406

বিগত আট বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কিছু মূলনীতি নির্ধারণ করেছিল। যার অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ, শিক্ষার প্রসার আর দারিদ্র্য বিমোচন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, বিদ্যুৎ আর শিক্ষা সহজলভ্য করে দিতে পারলে সরকার বা কারও কিছু করতে হবে না। মানুষ নিজেরাই উন্নয়নের পথ খুঁজে নেবে। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে গ্যাসের সংকটও কেটে যাবে। এরপর অন্তত ২০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে গ্যাস পাওয়া যাবে।

দেশে দারিদ্র্যের হার প্রায় ২২ শতাংশে নেমে এসেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ সালে দেশে দারিদ্র্যের সমস্যা থাকবে না। তবে কর্মে অক্ষম ৭ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ সব সময় সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকবে—এটা সব উন্নত দেশেই রয়েছে। দেশের আর্থিক সামর্থ্যের ভিত আরও শক্তিশালী করতে সরকার দুই বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রবাসীদের উদ্বেগের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইনমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে প্রবাসীদের স্বার্থবিরোধী কিছু এ আইনে থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রবাসে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে হালনাগাদ তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন প্রবাসীরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর লেখা মানপত্র পাঠ করেন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারওয়ার কবির। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এম আবদুল মোমেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শামসুদ্দিন খান, জালাল উদ্দিন ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।