নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ-নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র টহল দলের ওপর হামলা চালিয়েছে চোরাকারবারিরা। এতে বিজিবির ৪ সদস্য আহত হয়েছেন, একইসঙ্গে এক চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশীয় প্রাণিজসম্পদ শিল্প রক্ষার্থে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু চোরাচালানের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিজিবির অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ গরু জব্দ করা হয়েছে এবং সমমূল্য অর্থাৎ ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সীমান্তের চোরাই গরু জব্দ করে টহল দল হেঁটে ক্যাম্পে ফেরার পথে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কাউয়ারখোপ এলাকায় আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি, দুষ্কৃতকারী ও স্থানীয় সহযোগী প্রায় ২০০ হতে ৩০০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল দিয়ে বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা করে। টহলদলের সবাই কমবেশি আহত এবং বিজিবির ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ সময় টহল দল সরকারি জানমাল রক্ষার্থে এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে বাধ্য হলে এক চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ১টি কিরিচ ও ১টি দা জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। আর গুরুতর আহত ৪ বিজিবি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম জানান, ভবিষ্যতেও সীমান্ত পথে অবৈধভাবে গবাদিপশুসহ অন্যান্য চোরাচালানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম কঠোর হাতে দমন করবে বিজিবি। দেশের স্বার্থেই বিজিবি কঠোরতর পদক্ষেপ নেবে।