সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই – ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল ইসলাম

372

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি – বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে সমনে রেখে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়িতে আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড় গুইমারা সেনা রিজিয়নে সকল ধর্মের ধর্ম গুরুদের নিয়ে এক সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে রিজিয়ন সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় গুইমারা রিজিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন ধর্মের ৬০জন ধর্মগুরু অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে মসজিদের ইমাম, ওলামা ও বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা সকলের ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহবান জানান।

এসময় রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম সাজেদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকলে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করছে। একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে পাহাড়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। রিজিয়ন কমান্ডার আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন জাত নেই, ধর্ম নেই, সীমান্ত নেই। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ত রক্ষার্থে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। সম্প্রীতি নিয়ে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবেনা। ঈদ-উল-ফিতর ও আসন্ন বৌদ্ধ পূর্নিমা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সবাইকে নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সতর্ক নজরদারীর নির্দেশনা আহবান নানান।

রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, বর্হিবিশ্ব যখন মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের দুঃখ দেখে নির্বাক হয়ে বসেছিল, কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি, ঠিক তখনি বালাদেশের প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের প্রতি সদয় হয়ে তাদেরকে আশ্রয় প্রদান করেন যা সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে তাকে “গড়ঃযবৎ ড়ভ ঐঁসধহরঃু” উপাধিতে ভূষিত করেন। তারই অনুকরণে আমারা পাহাড়ের শান্তি, শৃংখলা, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে কাজ করে যাব।

অনুষ্ঠানে সামরিক পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও সকল ধর্মের ধর্মীয় গুরুরা উপস্থিত ছিলেন।