রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি- পাহাড়ের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে আগে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদর উশৈসিং এমপি। তিনি বলেন, সুষ্টু পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন বান্ধব কার্যক্রম গ্রহন করাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে কিভাবে পর্যটন খাতকে এগিয়ে নেয়া যায় তার পরিকল্পনা গ্রহন করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে টেকসই ও দায়িত্বশীল পর্যটন উন্নয়ন শীর্ষক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এর সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদান্দেু বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রাঙ্গমাাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম। এতে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সম্পদশালী জেলা হলো তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য অঞ্চলকে অবহেলা করলে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে না বলে প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। আগে আমাদের পর্যটন বান্ধব হতে হবে। পর্যটনের উন্নয়ন করতে হলে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে। তিন পার্বত্য জেলায় ১১টি ভাষাভাষী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালিদের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে পর্যটনের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন ও সাতত্য আর্কিটেকচার ফর গ্রীণ লিভিং এর স্থপতি রফিক আজম।