পাহাড়ে অপতৎপরতা দমনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে-ব্রি. জে. শরীফ মো. আমান হাসান

18

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
পাহাড়ে স্থায়ীভাবে শান্তি স্থাপনে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সেখানে কোনো গোষ্ঠী বা দলের অপতৎপরতা দমনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
তিনি সাংবাদিকদের রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখ, কান ও কণ্ঠ আখ্যায়িত করে বলেন, সেনাবাহিনীর সাথে মিডিয়ার সম্পর্ক খুবই নিবিড়। সেনাবাহিনীর সকল কাজ মিডিয়ার মাধ্যমেই আমজনতার কাছে পৌঁছায়।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন বিলিয়ে দিতেও প্রস্তুত। কোন গোষ্ঠী বা দলের অপতৎপরতা ধবংস করতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপরে খাগড়াছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক সৈকত দেওয়ান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী অপারেশন উত্তরণের আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিয়োজিত। সেনাবাহিনীর একমাত্র কাজ সন্ত্রাস দমন, সম্প্রীতি রক্ষা ও পার্বত্য জেলায় উন্নয়নের সহযোগি ভূমিকা পালন করা। অপারেশন উত্তরণের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়িতে কর্মরত সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করে আসছে। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব সকল কাজের উপযুক্ত পরিবেশ ও সম্প্রীতি বজায় রাখা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়নের উন্নয়নে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত। সেনা সদর ও ডিভিশন সদরের নির্দেশনা মোতাবেক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন প্রশাসন ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় করে জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর এ সকল কার্যক্রমের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মিডিয়ার ভূমিকা।