কাঁচা কাঁঠালে তৈরি হচ্ছে বিরিয়ানি ও কাবাবঃ দীঘিনালায় পাঁকার চেয়ে কাঁচা কাঁঠালের চাহিদা বেশি

26

॥ মো: সোহেল রানা দীঘিনালা ॥
পার্বত্য অঞ্চলে পাঁকা কাঁঠালের চেয়ে কাঁচা কাঁঠালের চাহিদা বেশি। স্থানীয় বাজারগুলোতে কচি কচি কাঁচা কাঁঠাল বিক্রয় করতে দেখা যায়। কাঁচা কাঁঠাল সবিজ, মিক্স সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। এছাড়া বর্তমানে বিরিয়ানি তৈরিতে মাংসের পরির্বতে কাঁচা কাঁঠাল ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় পাহাড়ি হোটেলগুলোতে কাঁঠালের তরকারি স্থানীয় সম্প্রদায়ে জনগোষ্ঠির পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কাঁঠালে প্রচুর পরিমান খাদ্যগুন বিদ্ধমান। কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়। পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিরা চৈত্রসংক্রান্তিতে কাঁচা কাঁঠালসহ অনেক সবজির লাবরা (মিক্স) রান্না করে খান। পাহাড়িদের বিজু, সাংগ্রাই, বৈসাবি উৎসবে ১০১ ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি পাঁচনে থাকে কাঁচা কাঁঠাল।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে হাটে কাঁচা ও কচি কাঁঠাল বিক্রি করতে আসেন বাবুছাড় থেকেধনবী চাকমা (২৮)। তিনি বলেন, পাকা কাঁঠালের চেয়ে কাঁচা কাঁঠালের চাহিদা বেশি। এখন পাহাড়ি-বাঙালি অনেকে এ কাঁঠাল কিনে নিয়ে যান। কাঁচা কাঁঠাল ৫০-৭০ টাকা দামে বিক্রি হয়।
দীঘিনালা চাকমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিচালক আনন্দ মোহন চাকমার স্ত্রী সোনাবী চাকমা (জেকি) বলেন, পাহাড়িদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জনপ্রিয় খাবার কাঁচা-কচি কাঁঠালের সবজি। চিংড়ি মাছ অথবা চিংড়ি শুটকি দিয়ে রান্না হয় কাঁঠালের তরকারি। আমাদের সর্বচেয়ে বড় উৎসব বিঝুতে পাঁচন তৈরি কাঁচাকাঁঠাল ছাড়া হয় না। ১০১ ধরনের সবজি দিয়ে পাঁচন তৈরি করি। এখন কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে বিরিয়ানি, কাবাবসহ নানা ধরনের খাবার তৈরি করা হচ্ছে।
মর্জিনা বেগম ও হেনা আক্তার বলেন, আমরা আগে চৈত্র সংক্রান্তিতে কাঁচা কাঁঠালসহ অনেক শাক-সবজি এক সাথে করে রান্না করে খেতাম। এখন শুটকি দিয়েও কাঁচা কাঁঠালের সবজি রান্না করি। তবে খবরে দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কাঁঠাল দিয়ে বিরিয়ানি, কাবাবসহ আরো অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা যায়। এখন থেকে আমরা এসব খাবার তৈরি করে খাব।
দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কাঁঠাল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কাঁঠালেআছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম। এছাড়া কাঁঠালে প্রচুর আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় মানব দেহের জন্য উপকারী।