বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন-মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী

64

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির জেলা কার্যালয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের প্রচার প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় এসময় ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ আলী আহসান ভুঁইয়া, ফিল্ড সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন, মাষ্টার ট্রেইনার মোঃ বখতেয়ার হোসেন, বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আশহাদুল ইসলাম ও জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা ক্বারী ওসমান গণি চৌধুরী, কালেক্টরেট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল হাসেমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা এসময় ইসলামের প্রচার প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সমুহ তুলে ধরেন। প্রকাশনা, গবেষণা, অনুবাদ, ইসলামি বিশ্বকোষ, সংস্কৃতি ও দাওয়াহ এবং ইসলামিক মিশন পরিচালনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে থাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। মসজিদ ভিত্তিক শিশু এ গণশিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে আলেমদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাকাত উত্তোলন ও বিতরণ করে থাকে। আপনারা যাকাত উত্তোলন ও বিতরণে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। স্বাবলম্বীদের যাকাত প্রদান করা অত্যাবশ্যকীয়। আদায়কৃত যাকাতের ৭০ভাগ অর্থ স্থানীয়ভাবে বিতরণ করা হয়।বাকি ৩০ভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে বিতরণ করে থাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আলোচনা সভা শেষে যারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে দায়িত্বপালন করে ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এর আগে গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষকেরা খতমে কোরআন তেলাওয়াত করেন।