দীঘিনালার কবাখালী-বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ বেহাল দশা, ৪০ বছর আগের পুরাতন ভাঙ্গাচুঁড়া ভবনে সেবা প্রদান

23

॥ মো: সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার ৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ ও ৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ পুরাতন আমলে ১৯৮৪ইং সালের মডেলের ভবনে নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা পেতে অনেক সময় লাগছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বসার আলাদা কক্ষ না থাকায় এক কক্ষে বসে অফিস করতে হয়। সম্মেলন কক্ষ ছোট পরিসরে হওয়ার ছোট করে করতে হয় সভা সমাবেশ। এতে করে নাগরিক সেবা ব্যহত হচ্ছে বলেন মনে করেন স্থায়ী জনগন। স্থানীয় জনগনের সময়ের দাবী দ্রুত নতুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্মান করা হউক।
৩নং কবাখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা বলেন, ১৯৮৪ইং সনের মডেলে তৈরি ইউনিয়ন পরিষদটি ৪০বছর হয়ে গেছে। টিনের চাল হওয়া অনেক বার সংস্কার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। সাবেক চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর হোসেনের দায়িত্ব থাকাকালীন সময় ইউনিয়ন পরিষদের জন্য বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি ৩০শতক জায়গা ক্রয় করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর হতে পরিষদের জন্য ক্রয় করা নতুন জায়গাটি জরিপ করে মাপ-যোগ করে নেয়া হয়েছে। দ্রুত নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মান করা হলে নাগরিক সেবা প্রসার বৃদ্ধি পাবে। এতে করে এলাকার জনগন বেশি উপকৃত হবে।
কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: মফিজুর রহমান বলেন, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদটি নতুন জায়গায় নির্মান করা দরকার। নতুন মডেলের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অনেক কক্ষ বিশিষ্ট হওয়া নাগরিকদের সেবা জন্য অনেক বিভাগের অফিস থাকে এতে করে নাগরিক সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পারে।
৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদ‘র নামে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নামে নাম পরির্তনের জন্য নামজারীর জন্য আবেদন করা হয়েছে। নতুন মডেলের ভবনটি নির্মান হলে সকল সেবা একসাথে জনগন পাবে। সেবা পেতে সময় কম লাগবে। উপজেলা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এসে নাগরিক সেবা দিতে পারবে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায় কৃষি উপসহকারি অফিসারদের অফিস কক্ষ থাকলে কৃষকদের ফসল চাষের পরামর্শ পাবে।