পাহাড়ী ছড়াগুলো এখন পানি শুন্য, পানির সঙ্কটে গ্রামীণ জনপদের মানুষ

57

॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ঢালে এঁকে বেঁকে চলা পাহাড়ি ছড়া গুলো এখন পাশি শুন্য হয়ে পড়েছে। পাহাড়ী ছড়াগুলো পানির প্রবাহ না থাকায় গ্রামীণ জনপদে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন নিত্য ব্যবহার্য্য পানির সঙ্কট ভোগ করছেন।
পাহাড়ি গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির নিত্য ব্যবাহার্য্য পানির প্রধান উৎস্য হলো পাহাড়ী ছড়া। দৈনন্দিন প্রয়োজন বিশেষ করে গোসল করা, কাপড় ধোয়া এবং সাধারন ব্যবহারের জন্য স্থানীয় জনগণের প্রধান উৎস্য হলো পাহাড়ী ছড়ায় প্রবাহিত পানি। কিন্তু পাহাড়ী ছড়া গুলো এখন শুকিয়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট চরম আকার ধারণ করেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ী ছড়ার অধিকাংশ এখন শুকিয়ে আছে। ছড়ায় পানির প্রবাহ একেবারেই নেই।
স্থানীয় জনগন জানান, যেসব দরিদ্র মানুষ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন তারাই পাহাড়ি ছড়ার উপর বেশি নির্ভরশীল। ছড়ার পানি দিয়ে তারা রান্না, গোসল করা, শাকসবজি পরীস্কার করাসহ সকল কাজেই ছড়ার পানির উপর ভরসা করেন। কিন্তু এখন ছড়া শুকিয়ে যাওয়ায় তাদের পানির কষ্ট বহুগুণ বেড়ে গেছে।
ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আপাই মারমা জানান, শুধু ছড়া নয় কোন কোন স্থানে টিউবওয়েল থেকেও পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। ইউপি চেয়ারম্যান চিরনজিত তনচংগ্যা ওয়াগ্গা ইউনিয়নে পাহাড়ী ছড়া গুলো শুকিয়ে গেছে বলে এই প্রতিনিধিকে জানান। তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাস থেকে এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছেনা। পাহাড়ে বৃষ্টি হলে সেই পানি ঝর্ণা ধারা হয়ে পাহাড়ী ছড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়। দীর্ঘ ৪ মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাহাড়ের ঝর্ণা ধারা গুলোও শুকিয়ে গেছে। যার ফলে পাহাড়ের ঝর্ণা থেকেও কোন পানি ছড়ায় ঝরে পড়ছেনা। তবে আবার বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি বদলে যাবে বলেও তিনি জানান। বৃষ্টি হলে বৃষ্টির সাথে সাথে পাহাড়ী ছড়াগুলো সতেজ হয়ে উঠবে। পাহাড়ি ছড়ায় পানির প্রবাহ পুনরায় শুরু হবে।