ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুকদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি ‘হেল্প ডেস্ক’

95

॥ বিশেষ প্রতিবেক ॥
পার্বত্য অঞ্চল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যাওয়া শিক্ষার্থী ভাই-বোনরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বেশির ভাগ সময় বিড়ম্বনায় পড়েন। পরীক্ষার নির্ধারিত স্থান খুঁজে পেতে দুর্ভোগে পড়তে হতো অনেক ক্ষেত্রে।
বিষয়টি মাথায় রেখে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি’র) কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন কায়েশ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম এর নির্দেশনায় পিসিসিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখার উদ্যোগে অদ্য (২৩,২৪ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার ও শনিবার দিনব্যাপী বসেছে পিসিসিপি ‘হেল্প ডেস্ক’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিসিসিপি’র পক্ষ থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, চলাচলের সুবিধার্থে বাইক সার্ভিস, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইল চেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ, অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা সহ ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।
এ প্রসঙ্গে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় তিন পার্বত্য জেলার ২৬ টি উপজেলার দূর্গম ও দূর দূরান্ত থেকে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক আসেন। তাদের যেনো কোন সমস্যায় পড়তে না হয়, তারা যেন না চাইতেই সকল সহায়তা পেয়ে থাকে সেজন্য আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে নানাবিধ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমার নেতা পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান এর হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি কোটা বৈষম্য দূর করতে, কারণ আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে একই এলাকায় থেকে একই আলো বাতাসে বড় হয়ে একই স্কুল ও কলেজে একই শিক্ষক এর কাছে লেখা পড়া শিখে যখন কোটা বৈষম্যের কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হই তখন আমাদের মনভেঙ্গে যায়, অনেকেই তার শিক্ষা জীবন থেকে হারিয়ে যায়, তাই পাহাড়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে সমান অধিকার পায়, কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে কোটা সুবিধা না দিয়ে সকল সম্প্রদায় যাতে সমান ভাবে সুযোগ পায় তাই কোটা ব্যবস্থা তুলে ফেলা হোক না হয় পার্বত্য কোটা চালু করা হোক।
ভর্তি সহায়তা প্রসঙ্গে ঢাবি পিসিসিপি’র সভাপতি মোঃ দিদারুল ইসলাম বলেন, ঢাবি পিসিসিপি’র ধর্মই হচ্ছে পার্বত্যঅঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যায় সামনে এগিয়ে আসা। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ক্যাম্পাসের প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছি। তাছাড়া বিনামূল্যে পানি বিতরণ, অভিভাবকদের বসার স্থান সহ সার্বিক সাহায্য করছি।