রাঙ্গামাটিতে নিরুত্তাপ হরতাল, যান চলাচল ও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক

83

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে বিএনপি-জামাতসহ সমমনা অন্যান্য রাজতৈনিক দলের ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতালে প্রথম দিনে কোন প্রভাব পরেনি রাঙ্গামাটি শহর জুড়ে। রাঙ্গামাটি শহরে হরতালের সমর্থনে বিএনপির গতরাতে ঝটিকা মিছিল হলেও সকাল থেকে মাঠ ফাঁকা রয়েছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোর থেকে হরতাল চলাকালে রাঙ্গামাটিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শহরের বাস স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাস। রাঙ্গামাটির অভ্যন্তরিন সকল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাট থেকে আগের নিয়মে নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে।
তবে লাগাতার অবরোধ ও এর পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার হরতালের কারণে ভাটা পড়েছে রাঙ্গামাটি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়। অবরোধের কারণে পর্যটক উপস্থিতি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে অলস সময় কাটাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হলেও জেলা সদরের কোথাও কোন পিকেটিং বা হরতালের কারণে সভা সমাবেশ করতে দেখা যায়নি কাউকে। উপজেলাগুলোতেও কোনো পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
রাঙ্গামাটির স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। সকাল থেকে যার যার প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজ কর্ম সারতে দেখা গেছে। রাঙ্গামাটি বিভিন্ন হাট বাজারে মানুষের ভীড় আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। সড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দল। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে হরতাল নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে রাঙ্গামাটি অটোরিক্সা চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবুর সাথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হরতালের কারণে শহরে সিএনজিও অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান। কিন্তু সকালে হরতাল চলাকালে শহরে সকাল থেকে সিএনজিও অটোরিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।