দূর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড-নিখিল কুমার চাকমা

47

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-পাহাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নসহ আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণে রাঙ্গামাটির ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সামগ্রী ও আসবাবপত্র তুলে দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে উন্নয়ন বোর্ডের রাঙ্গামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ের কর্ণফুলী কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকদের হাতে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৯টি ডেস্কটপ, ১০টি আলমারি, ৯টি সুইভেল চেয়ার, ৯টি কম্পিউটার টেবিল এবং ৫ জোড়া বেঞ্চ এ জাতীয় শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা উপ-সচিব মো. জসিম উদ্দিন, উপ-পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদ আলম, সহকারী প্রকৌশলী মিজ্ ত্রয়া সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনাব হাসান মোহাম্মদ নোমান, বোর্ডের বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রোসহ উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করে সেই ১৯৭৩ সালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নামক একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে অত্রাঞ্চলের সকল জাতিস্বত্তাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৩ এর ৯ই আগষ্ট রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউসের সামনে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে উপজাতি জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতার পক্ষে উন্নয়ন বোর্ড গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কারমন্ত্রী আব্দুর রউফ সেরনিয়াবাত এমপি। সেই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতি জনগোষ্ঠিসহ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্রাঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠিসহ সকল সম্প্রদায়কে এগিয়ে নিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
তিনি বলেন, পাহাড়ের অনগ্রসর এলাকাগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম ২৫ লাখ টাকার বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। কালের পরিক্রমায় জনসংখ্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে ২৫ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে বর্তমানে দুই কোটি টাকার বৃত্তি প্রদান করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাই করে বৃত্তি প্রধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে করে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দূর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্মার্ট শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে পাহাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধুনিকমানের শিক্ষা সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, আসবাবপত্রসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।