এতবার পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না, দুঃসময়ের জন্য মানা করিনিঃ প্রধানমন্ত্রী

55

ডেস্ক রিপোর্টঃ-নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দোয়া করবেন। আপনারা নির্বাচিত করেছেন আবার। এই এতবার আমার মনে হয় একটা পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না। তারপরেও এখন যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটা দুঃসময়। দুঃসময়ের জন্যই আমি হয়তো মানা করিনি। কিন্তু আমার বয়স হয়েছে, এটা মনে রাখতে হবে। কিন্তু সংগঠনটা যেন ঠিক থাকে চলতে থাকে সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে।’
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতারাও এসময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
গণভবনে নেতাকর্মীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাই হোক! আপনারা এসেছেন কষ্ট করে। এই ভবন আপনাদেরই ভবন। এটার নাম আব্বা দিয়েছেন গণভবন, কারণ এটা জনগণেরই ভবন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে জনগণের ভাগ্য গড়া। আর সেটাই আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি এবং সেটা আমাদের করতে হবে। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস এটাই আমাদের বড় শক্তিই। আমাদের আর কোনও শক্তি নাই। একমাত্র জনগণের শক্তিতেই আমরা বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগই এ দেশের জনগণের জন্য কাজ করে এবং আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষের আজ ভাগ্য ফিরে এসেছে।’
স্বাধীনচেতা হলে বড় দেশগুলোর অনেকে পছন্দ করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ যদি খুব স্বাধীনচেতা হয় তাহলে অনেকেই তাদের পছন্দ করে না। অনেক বড় বড় দেশ, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীরা কখনও এটা পছন্দ করবে না। কিন্তু আমাদের জনগণকে যদি আমরা ঠিক রাখতে পারি তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি এটা কেউ আটকাতে পারবে না। যেটা জাতির পিতা বলে গিয়েছিলেন কেউ দাবায় রাখতে পারবা না, সেটা পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘কাজেই এটা আপনারা সবাই সব সময় মাথায় রেখেই সংগঠনটির ওপর বেশি গুরুত্ব দেবেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন, এটাই আমার অনুরোধ।’
গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে রবিবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দলের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হয়। নতুন এ কার্যনির্বাহী সংসদে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অধিকাংশ সদস্যই পুননির্বাচিত হন।