নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার রবিবার ছিল মহাসপ্তমী। রাঙ্গামাটিসহ অন্যান্য উপজেলায় হিন্দু-ধর্মাবলম্বীরা পূজামন্ডপগুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পূজা-অর্চণার মাধ্যমে মহাসপ্তমী উদযাপন করে। দূর্গাভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজামন্ডপ গুলোতে দিনভর ভিড় জমায়।
মহা সপ্তমীর সকালে দিন নব পত্রিকা স্নানের পর মহাস্নান অনুষ্টিত হয়। দুর্গা প্রতিমার সামনে একটি দর্পণ রেখে সেই দর্পণে প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে দুর্গাকে স্নান করানো হয়। সকাল থেকে মন্দিরে পুরোহিতরা সপ্তমীর বিহিত পূজার মধ্যে দিয়ে সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শেষে সনাতন সম্প্রদায়ের নর নারীরা অঞ্চলী গ্রহণ করেন।
সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দূর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। নবপত্রিকার আরেক নাম হলো কলা বৌ স্নান। এছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দূর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যদিয়ে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে। করজোরে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে শান্তিময় বিশ্বের প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ঢাকের বাদ্য, কাসর ঘন্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সবেতেই যেনো ছিলো একই আর্তি।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শনিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর দূর্গোৎসব শেষ হবে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকানুযায়ী, আগামীকাল সোমবার মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে এবং সমাপন বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটের মধ্যে।
এবছর পার্বত্য অঞ্চলে এবছর ৪২ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূজা উৎসব যাতে শান্তিপুর্ণ ও সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে হয় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।