শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও এটি আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত-দীপংকর তালুকদার এমপি

48

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও এটি আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী বলেই সব ধর্মের মানুষ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার মহা সপ্তমীতে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর ও কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন, ধর্মীয় নেতা ও পুজারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফজলুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ত্রিদিব কান্তি দাশ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অমলেন্দু হাওলাদার, সদস্য সচিব রনতোষ মল্লিক, পুজা পরিষদের স্বপন কান্তি মহাজন, ডাঃ রনজিত নাথ, সমন্বয় কমিটির সদস্য ও মনিটরিং কমিটির আহবায়ক বাবলা মিত্র, প্রমতোষ দেব, নন্দন দেবনাথসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল সম্প্রদায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। বর্তমানে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চারা দিয়ে উঠছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সকল সম্প্রদায়কে ঐক্য বদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তাই এ দেশ আমাদের সকলের। সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। তাই দেশের সকল ধর্মের মানুষ যাতে যার যার ধর্ম নির্বিঘ্নে করতে পারে তার জন্য সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব দেখানোর আহবান জানান তিনি।
এসময় দীপংকর তালুকদার এমপি পূজা মন্ডপের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজ নেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন মন্ডিরে আর্থিক সহায়তাসহ নানিয়ারচর উপজেলার সনাতনী বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে কথা বলেন।
এদিকে, রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপর আড়াইটা হতে সাড়ে ৫টা অবধি দুর্গা পুজার মহা সপ্তমীতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী শ্রী শ্রী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি মন্দির, চন্দ্রঘোনা কেপিএম কয়লার ডিপু প্রকল্প হরি মন্দির, শিলছড়ি পুজা মন্ডপ, কাপ্তাই লগগেইট জয়কালী মন্দিরের পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি।
এসময় তিনি মন্দিরে আগত ভক্তদের সাথে কথা বলেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরিদর্শনকালে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সকলে যার যার ধর্ম নির্ভয়ে পালন করবেন। এইদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, কিন্তু কিছু কিছু লোক পুজা আসলে পুজা মন্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে থাকে। আমরা সকলে মিলে এই অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, দীপ্তিময় তালুকদার, ইলিপন চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদিপ কান্তি দাশ, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অমলেন্দু হাওলাদার, সদস্য সচিব রনতোষ মল্লিক, রাঙ্গামাটি জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক স্বপন মহাজন, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন, ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিরনজীত তনচংগ্যা, কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টুসহ উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।