তিন পার্বত্য এলাকায় পুনরায় সেনাক্যাম্প স্থাপন ও সন্তু লারমার ফাঁসির দাবীতে রাজস্থলীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

334

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ-তিন পার্বত্য জেলায় পরিত্যক্ত সেনাবাহিনী ক্যাম্পগুলোতে পুণরায় সেনাবাহিনী মোতায়েন ও গুম, হত্যা, চাঁদাবাজী, অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী গডফাদার সন্ত্রাসী সন্তু লারমার ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন মারমা সচেতন নাগরিক সমাজ।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের সামনে মারমা নাগরিক সমাজের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় হেডম্যান, কারবারি, জনপ্রতিনিধিগণসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মারমা সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার লোকজন অংশ নেন।
বাঙ্গালহালীয়া মারমা সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিউমং মারমার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক চাইলু মারমা, মংক্যানু মারমা, রনি মারমা, হেডম্যান উথিনসিন মারমা, হেডম্যান ক্যসুইথুই মারমা প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষের শান্তির জন্য। কিন্তু সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে পাহাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ হড়ে পরেছে। গুম, হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কারণে পাহাড়ের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষার চেষ্টা করছে।
তাই তিন পার্বত্য এলাকায় পরিত্যক্ত সেনাক্যাম্পগুলোতে পূণরায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোরদাবী জানান এবং একই সাথে রাজভিলা ইউনিয়নের মশাবুনিয়া পাড়ার নিরীহ কৃষক সামাপ্রু মারমা নামে নারীকে মারধর ও মৃত্যুর হুমকি দেয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন আয়োজক কমিটি।
এর আগে রাজস্থলী উপজেলা হ্নারামুখ পাড়া থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার উত্তর দক্ষিণ দিক প্রদিক্ষণ করে উপজেলা চত্বরে এসে মানববন্ধন ও সমাবেশে মিলিত হয়।
উল্লেখ্য, বিগত ৩ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বান্দরবান রাঙ্গামাটি সীমান্তের রাজভিলার মশালবুনিয়া পাড়ায় সামাপ্রু মারমা নামে এক নারীকে মারধর ও হত্যার হুমকি প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমার সংগঠনকেই দায়ী করেন।