ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বিপর্যস্ত জনজীবন, নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং

66

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-মৌসুমের প্রথম ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ির জনজীবন। শনিবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, মানিকছড়ি সহ বেশ কিছু উপজেলায় বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার সওজ অফিসের সামনের সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে সাজেক সড়কে যাতায়াতকারী পর্যটক ও স্থানীয়দের ভোগান্তি হচ্ছে। এ ছাড়া মেরুং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। মেরুংয়ের মাইনী নদী তীরবর্তী ও আশপাশের অর্ধশতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন।
এদিকে, খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন, কুমিল্লাটিলা সহ পাহাড় অধ্যুষিত এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবার গুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে তৎপরতা শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। দুপুরের পর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়রসহ স্থানীয় জপ্রতিনিধিরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী ও ফেণী নদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও খাগড়াছড়িতে দেখা মিলেনি পর্যটকদের আনাগোনা।
খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান সাহাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসসহ যে কোন ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের সব ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা মাথা রেখে শালবন এলাকায় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুইটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে জনগণকে সর্তক করা হচ্ছে।