রাজস্থলীতে সয়াবিন তেলে ‘এখন আগুন’ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

92

হারাধন কর্মকার, রাজস্থলীঃ-প্রতিদিনই সয়াবিন তেলের দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম ২০ থেকে ২৪ টাকা বেড়েছে। দোকানগুলোতে প্রতি লিটার ফ্রেশ সয়াবিন তেল ছিল ১৫৯ টাকা, বর্তমানে একই তেল বিক্রি ২০০ টাকা ও অন্যান্য কোম্পানির তেল ১৮০-১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ২৫-৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২১০ টাকায়। এর আগে এত বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হয়নি বলে জানা গেছে। তবে তেলের প্রতিটি বোতলে মুল্য লিখা থাকলেও চট্টগ্রামের দোহাই দিয়ে ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম। সম্পর্কিত বাজার গুলোতে ব্যাবসাহি সিন্ডিকেডের স্বার্থেই সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি: বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে এক লাফে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও যেখানে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় পেঁয়াজ পাওয়া যেতো আজ তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া রসুন, আদা, হলুদ ও আটা-ময়দা, সাবানের দামও বেড়েছে। দেশি রসুনের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আদার দাম। বর্তমানে দেশি ও আমদানি করা আদা ৮০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা করে। আটা ও ময়দার দাম কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা আটা ৩০ থেকে ৩২ টাকা ও প্যাকেট আটা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে খোলা ময়দা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। চাল, ডাল ও তেলের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। ভালোমানের চিকন মিনিকেট চাল ৭৫-৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম ও ২৮ মোটা চালও বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। সর্বনিম্ন মোটা গুটি চাল প্রতিকেজি ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। আর মোট ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে। তবে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এছাড়া আলু গত সপ্তাহের মত প্রতি কেজি মিলছে ২০ টাকায়।
এদিকে কমেছে লাউয়ের দাম। গত সপ্তাহেও লাউয়ের পিস ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৩০ টাকা। দেশি রুই মাছ (এক কেজি ওজনের) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে। তেলাপিয়া মাছ ১৮০-২০০টাকা। এছাড়া সকল মাছের দাম কেজিতে ৩০-৪০টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বয়লার মুরগির দর কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বয়লার ১৭৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০টাকা। এছাড়া কক ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে।এই বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন অচিরেই উপজেলার সকল বাজার গুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান।