ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে রাঙ্গামাটির আকাশ হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিঃ আতঙ্ক নেই শহরে

81

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে আকাশ হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রাঙ্গামাটিতে সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (৯ মে) ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলেও দুপুরে কিছুটা রোদের দেখা মিলেও বিকেল নাগাদ আবারো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টি শুরু হয়।
রবিবার (৮ মে) সকাল থেকে হালকা রোদ ছিল রাঙ্গামাটি শহর জুড়ে। তবে দুপুরের দিকে কিছুটা বাতাস বয়ে গেলেও বৃষ্টি দেখা মেলেনি। কিন্তু সোমবার (৯ মে) ভোর রাতে বৃষ্টি দেখা মেলে আর দুপুর গড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি কমে দিয়ে দেখা পাওয়া যায় কিছুটা রোদের। বিকেল গড়ার সাথে সাথে আবারো হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। তবে আসানি নিয়ে তেমন প্রচারণা না থাকায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তেমন আতঙ্ক নেই শহরের কোথাও।
এদিকে আবাহওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সোমবার (৯ মে) গতিপথ পরিবর্তন নাও করতে পারে। বর্তমানে যে গতিপথে আছে তাতে মঙ্গলবার এটি ভারতের উপকূলের আছড়ে পড়তে পারে। এ কারণে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরে আগের মতো ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। তবে যেকোনো সময় গতি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে।
আবাহওয়া অধিদপ্তর থেকে আরো জানা যায়, ‘আপাতত বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত থাকবে। তবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও বাতাস বয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, এটি ভারতের ওডিশার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে উপকূলে ধেয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে যাবে। যার ফলে বাংলাদেশে এর সেভাবে প্রভাব পড়বে না বলে দৃশ্যমান হচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন-৮ অনুযায়ী, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সোমবার সকাল ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।