দীঘিনালা প্রতিনিধিঃ-খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং এর নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি একাধিক পরীক্ষার্থী নিরাপত্তাহীন ও টিসি‘র কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক’রা আমাদের থেকে কোচিং এর নামে দুই হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন কোচিং ক্লাস করানো হয় না। কোচিং ক্লাসে স্যারদের ডেকে আনতে হয়। অনেকে স্টুডেন্ট টাকা দিতে না পারায় শিক্ষক’রা ক্লাসে অনেক চাপ প্রয়োগ করেছে। কোচিং আর হবে না বলে জানানো হয়।
২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১শত ৬০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে কোচিং ফ্রি আদায় করছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে। স্যার’দের কিছু জানতে চাইলে স্কুল থেকে টিসি দিয়ে দিবে বলে ধমক দেয়। আমাদের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার চাকমা’কে জানাতে গেলেই তিনি আমাদের কোন কথা শুনেন না। আরো বাজে ব্যবহার করেন। ক্যারিয়ারের চিন্তা করে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছি না।
দীঘিনালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার চাকমা’কে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েও এই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দীঘিনালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসার কাছে কোচিং এর টাকা ও শিক্ষার্থী’দের সাথে প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোচিং এর নামে টাকা তোলার বিষয়টি কিছুদিন আগে জেনেছি। আমি শিক্ষক সাধন কুমার চাকমা’র সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন জানুয়ারী মাসে অভিভাবক সমাবেশ করে কোচিং ক্লাস বাবদ টাকা তুলেছেন। তিনি ৪০ জন শিক্ষার্থী থেকে টাকা তুলেছেন বলেও জানিয়েছেন। অতিরিক্ত টাকাগুলো মাসিক ফিস বাবদ কেটে নিবেন বলে জানিয়েছেন। আমি ২০ অথবা ২২ এপ্রিল তারিখে দীঘিনালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাবো এবং যাদের থেকে টাকা তোলা হয়েছে তাদের টাকাগুলো ফিরিয়ে দিতে বলবো এবং আমি বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জানাবো। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আচারনের বিষয়টি দুঃখজনক, যেখানে শিষ্টাচার নৈতিকতা ব্যবহার শিক্ষক থেকে পাবে সেখানে এরকম আচারন দুঃখজনক।
দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) সভাপতি চয়ন বিকাশ চাকমা জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিংয়ের নামে টাকা আদায় করা নিয়মবহির্ভূত। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের টাকা আদায়ের কথাটি শুনেছি। বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। বিদ্যালয় খোলা হলে অবিভাবকদের ডেকে টাকা পরিশোধ করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলবো।