বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে খাগড়াছড়িতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

129

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আজ যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালনের কর্মসূচীর সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরাসহ জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা করা হয়।
এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন পালন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসে দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, জেলা তথ্য অফিসার বাম্পী চক্রবর্তী, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়াসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানগন বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তাগন বলেন, স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখন্ড হিসেবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। স্বাধীনতার ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নামে এই অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় দিকনির্দেশনাসহ দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুজিবনগর সরকারের মেধাবী নেতৃত্বে যুদ্ধরত একটি জাতিকে, একটি সুসংগঠিত মুক্তিবাহিনীকে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়।