এ কে এম মকছুদ আহমেদঃ-কর্ণফুলী হ্রদের কাচালং নদীসহ বরকল, জুরাছড়ি, নানিয়ারচরের নদীগুলোতে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা নেওয়া হউক। সরকারী ভাবে ড্রেজিং মেশিন এর মাধ্যমে নেয়া খুবই জরুরী। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
ড্রেজিং এর অভাবে নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়েছে দুইযুগের ও বেশি সময় ধরে। দুইযুগ পযন্ত ড্রেজিং এর জন্য আবেদন নিবেদন করার পর ও প্রথমে বেসরকারি ভাবে বিএনপি আমলে কাপ্তাই হ্রদে উদ্বাস্তু প্রজা সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা জমা দেয়া হয়েছিল। উক্ত জমা দেওয়া টাকা এখনও ফেরত দেয়া হয় নাই। কিন্তু এ সময়ে সীতাকুন্ডে ড্রেজিং এর কাজে নিয়োগ করার ফলে কর্নফুলী হৃদে ড্রেজিং এর কাজ করা যায়নি।
গত দুইযুগ ধরে পত্র পত্রিকার লেখালেখি এবং স্থানীয়দের আবেদন নিবেদনের ফলে সরকারীভাবে ড্রেজিং করার উদ্যোগ নেয়া হলে অদ্যাবধি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সরকারীভাবে ড্রেজিং করা হবে মর্মে বিভিন্ন সময়ে ঘোষনা দেয়া হলে ও এখন পর্যন্ত ড্রেজিং শুরু করা যায়নি। কর্নফুলি নদীর উৎপত্তিস্থল, বরকল উপজেলার ঠেগামূখ স্থলবন্দর চালুর জন্য বরকলের কর্নফুলী নদীতে প্রথমেই ড্রেজিং করা হবে মর্মে বিভিন্ন ভাবে জানা গেছে। যেটাই করা হউক না কেন জরুরী ভিত্তিতে শুরু করা দরকার।
এমনিতেই বাঘাইছড়ি-মাইনী, বরকল, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি, বিলাইছড়িতে শুকনো মৌসুমে ৬ (ছয়)মাসের মত নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকে। ফলে জন ভোগান্তির শেষ নাই। যোগাযোগের অভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং দ্রব্য আনা নেয়া এবং উৎপাদিত কাঁচা মাল পরিবহনে ২/৩ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে আনা নেওয়া করতে হয়। ফলে প্রত্যেকের উপর খরচের বোঝা হয়ে পড়ে। যোগাযোগ বন্ধ অবস্থায় শুধু মাত্র বাঘাইছড়ির সাথে খাগড়াছড়ি হয়ে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতো ফলে যাত্রীদের কিছু দূর্ভোগ কমতো। কিন্তু ২/৩ বছর যাবত বাস মালিক সমিতি খরছে পোষায় না বলে বাস সার্ভিস বন্ধ রেখেছে। ফলে সিএনজি, চান্দের গাড়ি এবং মোটর সাইকেলে করে চলাচল করতে হচ্ছে।
আর লংগদু, বাঘাইছড়ি সড়কে সুয়ারিপাতাছড়া নামক এলাকায় একটি ব্রিজের কারনে বাঘাইছড়ির সাথে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
বরকলে ঠেগামূখ পর্যন্ত ড্রেজিং শুরু করার পর কাচালং নদীতে জরুরী ভিত্তিতে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা নিতে হবে। ড্রেজিং ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
অতএব জরুরী ভিত্তিতে কর্নফুলী হৃদের নদী গুলোতে ড্রেজিং করা দরকার।