ধাপে ধাপে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেয়া হবে-দীপংকর তালুকদার এমপি

77

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটি জেলার ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্টানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম সিস্টেম হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মেয়ে শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কম্পোনেন্ট, এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপির একটি যৌথ প্রকল্পের আওতায় রাঙ্গামাটি ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে স্কুলের শিক্ষকদের হাতে এ মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম তুলে দেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ও এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের আয়োজনে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সুবির চাকমা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য আসমা বেগম, সদস্য আব্দুর রহিম, রাঙ্গামাটি জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিনয় চাকমাসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় দেশও এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের কোন এলাকা প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকবেনা। ধাপে ধাপে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম বিতরণ করে আগামী প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়্যারমান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সেক্টরে উন্নয়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাকে সহযোগীতা করার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে। আর পেছনে পড়ে থাকবে না।
অংসুই প্রু আরো বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানান সমস্যায় জর্জরিত। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো এমিপওভুক্তি হয়নি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনটির বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর হচ্ছে। কিন্তু এমপিও ভুক্তি হয়নি। শিক্ষক নিবন্ধন বাধ্যতামুলক হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গভীর সংকটে পড়েছে। সমতল অঞ্চল থেকে নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকরা যোগদান করে না অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চল থেকে নিবন্ধন করা শিক্ষকের সংখ্যা কম।