বাঘাইছড়িতে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনঃ আমতলী ইউপিতে পিতা পুত্র দু’জনেই চেয়ারম্যান প্রার্থী

251

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-আসন্ন ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন ৩৮নং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একই ঘরের মধ্যে পিতা পুত্র দুজনেই চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জনগনের কাছে ভোট চাইতে মাঠে কোমড় বেঁধে নেমেছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একমাত্র বাঙালি এরিয়ায় প্রায় শতভাগ ভোটার নিয়ে ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। তার মধ্যে নৌকা মার্কা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল। আর বাকি ৩জনের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র এবং ২জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান রাসেল ও তার পিতা মোঃ সুলতান আহম্মদ মাষ্টার একই পরিবার থেকে ২জনেই চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন! আর বাপ বেটা দু’জনেই আওয়ামী লীগ। রাসেলের পিতা সুলতান আহম্মদ মাষ্টার সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ব্যক্তিগত ফেইজ বুক ওয়ালে লিখেছেন আমি কেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলাম।
আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান আহম্মদ মাষ্টার অনুভূতি প্রকার করে বলেন, আমতলীবাসীকে শোষণ জুলুম নির্যাতন অত্যাচার নিপিড়ন হামলা মামলা ও দাঙ্গাহাঙ্গা থেকে এলাকার মানুষদের মুক্ত করার জনই আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। সুলতান আহম্মদ মাষ্টার তার ফেইজবুক পেইজে আরো বলেন, একজন পিতা কখন ছেলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয় এর জবাব আপনাদের কাছে রইলো। সে এলাকার মানুষদের নির্যাতন করতো সে সাথে আমিও তার নির্যাতন থেকে রেহাই পাইনি।
আমতলী ইউপি ভোটারদের কথা, গত ৫বছরে আমতলী ইউনিয়নে উন্নয়নের চেয়ে বেশী সম্পদশালী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল। সে ছিল সামান্য একজন মানুষ চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত ৫বছরে কোটি টাকার
মালিক হয়েছেন। এত টাকা সে পেলো কোথায়? তার পরও দল তাকে ফের মনোনয়ন দিয়েছেন! তাই আমরা প্রশাসনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বলছি বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও জাল ভোট প্রয়োগ করতে না পারলে কখনো সে বিজয় লাভ করতে পারবে না। আমতলী ইউনিয়নবাসী এবার একজন সৎ ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে চায়। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে এবং ভোট সুষ্ঠু হলে তা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
এদিকে আমতলী ইউনিয়নে বাপ বেটার নির্বাচন নিয়েও নানান ধরনের গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছে এটা বাপ বেটার নাটকও হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছে যদি বাপ বসে গেলে বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে বুঝা যাবে। আসলে নাটক নাকি সত্যি সত্যিই নির্বাচন করবে রাসেলের পিতা সুলতান মাষ্টার। অপর দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী
ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব কোমড়ে গামছা বেঁধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উচ্চ শিক্ষিত তরুণ ছাত্র নেতা আমতলী ইউনিয়নের আগামী দিনের প্রজন্ম অত্র এলাকার কৃতি সন্তান মোঃ আল-আমিন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। শনিবার (২২জানুয়ারি) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২৩জানুয়ারি থেকে পুরোদমে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।