পুলিশ আর জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে-শামশুদৌহা চৌধুরী

88

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-কাউখালী উপজেলার সম্প্রতি নির্বাচতি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কাউখালী থানায় নতুন যোগদান করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম। শনিবার (১৫ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় কাউখালী থানার সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাউখালী থানার নব যোগদান করা অফিসার ইনচার্জ এর সভাপতিতে, কাউখালী থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায়, মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামশুদৌহা চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাউখালী উপজেলার পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান অংপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিংবাইউ মারমা, কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাজাই মার্মা, বেতবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অংক্যাজ চৌধুরী, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দীন, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান উষাতন চাকমাসহ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনের ইউপি সদস্যগণ।
সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে সামশুদৌহা চৌধুরী বলের, পুলিশ আর জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। আর সেতুবন্ধনের জন্য জনপ্রতিনিধিরা হবে প্রধান মাধ্যম। আমরা আশা করবো সব সময় পুলিশ জনগনের ভালবাসার স্থান ধরে রাখবে। এতে করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ওসি এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশকে জনগণের প্রকৃত সেবকে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আইজিপি মহোদয়। এরই প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশমতে থানাকে শতভাগ সেবামুখী করতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। আর থানাকে সেবামুখী করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন। একটি থানা এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস। সে তুলনায় পুলিশের সংখ্যা সীমিত। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা প্রয়োজন। মাদক, জুয়া, কিশোর গ্যাং নির্মূলসহ সকল নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন থানায় সেবা নিতে আসা কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। থানায় সেবা নিতে আসা কাউকে কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না।