পাহাড়ে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধন পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে-দীপংকর তালুকদার এমপি

150

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-পাহাড়ে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধন পরিবেশ ও সম্ভাবনা গড়ে তুলতে হলে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আগে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, ব্যবসা ও পর্যটন সম্ভাবনা বান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে হলে এইসব চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা দরকার। তাই এইসব কার্যক্রম বন্ধ করতে ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযান আরো বেশী তীব্র ও ব্যাপকতা বাড়ানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এখন মোটামুটি চাঁদাবাজির হারটা কিছুটা অনেকটা কমে গেছে তবে পুরোপুরি কমে নাই। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সাথে সাথে আমাদেরকেও ব্যবসা ও পর্যটন সম্ভাবনা বান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে এইসব চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করতে সবাইকে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা আহবান জানান তিনি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্সের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার শিল্প ও ব্যবসাবান্ধন পরিবেশ, সম্ভাবনা, সম্প্রসারণে করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, ট্যুরিজম এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাস মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিমসহ কাঠ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, আসবাবপত্র মালিক সমিতি, সিএনজি মালিক সমিতিসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পর্যটন শিল্প নির্ভর অর্থনীতির উন্নয়ন এবং পর্যটক আকৃষ্ট করার পূর্বশর্ত হচ্ছে সকল অংশীদারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরী। সমন্বিত পর্যটন পরিকল্পনা প্রণয়ণের পর উক্ত পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর পরিকল্পনা মোতাবেক পর্যটন সহায়ক অবকাঠামো যথা রাস্তা, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, নর্দমা নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ইত্যাদির উন্নয়ন করতে গেলেই আঞ্চলিক সশস্ত্র দলগুলো প্রতিনিয়ত বাঁধা প্রদান করে আসছে।
তাই এইসব চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও উন্নয়ন কাজে বাঁধাদানকারীদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান আরো বেশী তীব্র ও ব্যাপকতা বাড়ানো গেলে এখানে উপর্যুক্ত সকল প্রস্তাবনা সমূহের বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বিশ্ব
এসময় বক্তারা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার শিল্প, ব্যবসার পরিবেশ ও পর্যটন শিল্প সম্ভাবনাকে সম্প্রসারণে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।