বন্যায় সড়ক ডুবে আলীকদম উপজেলার সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ডুবে গেছে লামার নিন্মাঞ্চল

145

লামা প্রতিনিধিঃ-গত কয়েকদিন ধরে মুসলধারে টানা বৃষ্টির কারণে উজান নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মাতামূহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লামা ও আলীকদম উপজেলার নিন্মাঞ্চল ডুবে গেছে। এ ছাড়া এ ঢলের পানিতে ৩ থেকে ৪ হাত পানির নিচে তলিয়ে যায় লামা-আলীকদম সড়ক। এ কারণে গত দুই দিন ধরে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে আলীকদম উপজেলার সাথে সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ দিকে আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম বলেন, টানা চার দিন ধরে মুসলধারে বৃষ্টির কারণে আলীকদমের নিন্মাঞ্চ ডুবে যায়। এ ছাড়া আলীকদম-লামা-চকরিয়া সড়কের লামা উপজেলার লাইনঝিরি, ছাগলখাইয়া ও শিলেরতুয়ার দরদরা ঝিরি নামক স্থানে সড়ক ডুবে যায়। সড়কটি অন্তত তিন ধেকে চার হাত পানির নিচে গত দুই দিন ধরে ডুবে আছে। এ কারণে, আলীকদম উপজেলার সাথে সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ লোকজন সড়কের ডুবে যাওয়া অংশে নৌকা দিয়ে পারাপার করে কোন রকম চলা ফেরা করছে।
অন্যদিকে লামা পৌরসভার নয়াপাড়া, চাম্পাতলীর মাাঝি পাড়া, টিএনটি পাড়া, কলিঙ্গাবিল, বড়নুরার বিল মার্মা পাড়া, রাজবাড়ি, লাইনঝিরি, ছাগলখাইয়া ও শিলের তুয়া এলাকার নিন্মাঞ্চল ডুবে গেছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, গত দুই ধরে বন্যার পানিতে পৌরসভার পাঁচশত ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এ ছাড়া পাহাড় ধ্বসে ৫০পরিবারের ঘরবাড়ি আংশিক নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কোন হতাহতে ঘটনা ঘটেনি। টানা মুসলধারে বৃষ্টির কারণে লামায় বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌর এলাকার অনেক রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে।
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজা রশিদ বলেন, লামার বিদ্যালয় গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়েছে। বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় গতমঙ্গলবার লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে বিশ পরিবারের ৬০জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে খাওয়া দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আজ বুধবার মাতামূহুরী নদীর পানি সকাল বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো অনেক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে।